আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
ইরাক-সিরিয়ার কোন লক্ষ্যবস্তুতে কেন হামলা করল যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক ও সিরিয়ার ভূখণ্ডে গতকাল শুক্রবার ৮৫টির বেশি লক্ষ্যে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ও ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনায় এসব হামলা হয়েছে।গত রোববার সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে গতকালের হামলাকে দেখা হচ্ছে। সামরিক ঘাঁটিতে ওই হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হন। আহত হন ৪১ জন। ওই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছিল ওয়াশিংটন। এর প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জো বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকালের হামলা ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে প্রথম বহুমুখী প্রতিক্রিয়া। আগামী দিনগুলোয় এমন হামলা আরও হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র; প্রথম আলো


গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা
হামাসের প্রাথমিক সমর্থন পাওয়ার দাবি কাতারের
► রাফাহ শহরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আক্রমণের হুমকিতে সেখানে আশ্রিত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আতঙ্ক
গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি পরিকল্পনায় হামাসের প্রাথমিক সমর্থন মিলেছে বলে দাবি করেছে কাতার। মধ্যস্থতাকারী দেশটি বলেছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের ইসরায়েলের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে হামাস। তবে হামাসের এক সূত্র বলেছে, চুক্তির বিষয়ে এখনো কোনো সমঝোতায় আসেনি তারা। অন্যদিকে ‘নিরাপদ এলাকা’ বলে ঘোষিত রাফাহ শহরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের আক্রমণের হুমকিতে সেখানে আশ্রিত লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গাজায় গতকাল শুক্রবার তুমুল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামাসের প্রেস অফিস জানায়, খান ইউনিস শহর ঘিরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ গাজার এই শহরটি সংঘাতের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। এদিকে গাজা সিটি শহরের এক বাসিন্দা জানান, আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে বিমান থেকে প্রচারপত্র ফেলেছে ইসরায়েল। সূত্র; কালের কণ্ঠ
মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের ডামাডোল
ইরাক-সিরিয়ার ইরান ঘাঁটিতে হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বাজছে বড় যুদ্ধের ডামাডোল। একদিকে গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ, অন্যদিকে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চলমান এই বারুদ হাওয়ার মধ্যেই এবার নতুন করে সিরিয়া ও ইরাক-ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় ধারাবাহিক হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ওয়াশিংটন। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ। মার্কিন কর্মকর্তারা সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ না করলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি সংঘটিত হবে বলে জানিয়েছেন। এফপি, বিবিসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব কর্মকর্তা আরও জানান, হামলা কখন শুরু হবে তা আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই হুঁশিয়ারির পর যে কোনো হামলার ‘কড়া জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে রাইসি বলেন, ‘আমরা নিজ থেকে কোনো যুদ্ধ শুরু করব না। কিন্তু কেউ যদি আমাদের হুমকি দেয় অথবা কোনো হামলা চালায় তাহলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে’। রয়টার্স। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ‘আমরা কীভাবে এবং কোথায় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার প্রতিক্রিয়া জানাব সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই বেছে নেব।’ সূত্র: যুগান্তর
মালয়েশিয়ার বন্দিশিবির থেকে পালালেন শতাধিক রোহিঙ্গা
মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় পেরাক প্রদেশের বাইদর শহরের একটি অস্থায়ী বন্দিশিবির থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা পালিয়েছেন। পালানোর পর তাদের একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গতকাল দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।স্থানীয় পুলিশপ্রধান মোহাম্মদ নাইম আসনাউই জানিয়েছেন, বাইদরের ওই বন্দিশিবিরে বৃহস্পতিবার দাঙ্গায় জড়ান ১১৫ রোহিঙ্গাসহ আরও ১৫ জন। তাদের সবাই পুরুষ। এরপর তারা বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে যান। পালানোর পর রাতের অন্ধকারে গাড়ির ধাক্কায় একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। তার পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, কী কারণে বন্দিশিবিরে দাঙ্গার সূত্রপাত হলো, তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া সবাইকে পুনরায় আটকের চেষ্টা করছে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
জান্তাবিরোধী আন্দোলন
চীনের নিপুণ খেলা মিয়ানমারে, পিছিয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র
চীন বহু বছর ধরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে এলেও এবার কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। রণাঙ্গনে দেশটির অগ্রসরমান বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বেইজিং। সুনিপুণ এই কৌশলে চীন বিদ্রোহীদের দিয়ে জান্তাকে এবং সেনা শাসকদের ভয় দেখিয়ে বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছে। উভয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে তারা। চীনের এই সুবিধাজনক অবস্থানের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে পড়ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে সরাসরি দৃঢ় অবস্থান নিলেও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে স্বীকৃতি বা তাদের জোরালো সমর্থন দিচ্ছে না ওয়াংশিটন। তবে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জান্তাকে নিদারুণ বেকায়দায় ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নের জন্যই মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ জোরদার করা উচিত বাইডেন প্রশাসনের। সূত্র; সমকাল
৮ শতাধিক পশ্চিমা কর্মকর্তা ইসরায়েল নীতিতে ক্ষুব্ধ
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ এলাকাকে ইসরায়েল তার সামরিক অভিযানের কেন্দ্রে পরিণত করতে চলেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ খবর দেওয়া হয়েছে। আবার ইসরায়েল গাজায় বেলজিয়াম সরকারের একটি উন্নয়ন সংস্থায় হামলা করায় ব্রাসেলস সেখানে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতকে তলব করেছে। এদিকে গাজায় চলতে থাকা নৃশংসতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আট শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা একটি যৌথ বিবৃতিতে নিজ নিজ দেশের সরকারের ইসরায়েল নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ইসরায়েল তার সামরিক অভিযানের কেন্দ্র গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফাহতে স্থানান্তর করার ঘোষণা দিয়েছে। এতদিন তাদের সামরিক অভিযানের কেন্দ্র ছিল মধ্য গাজার খান ইউনিস শহর। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার কিছুদিন পর গাজায় সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পরে উত্তর থেকে দক্ষিণে ক্রমে ক্রমে নানা জায়গায় অভিযানের কেন্দ্র তৈরি করে হামলার নীলনকশা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা দপ্তর গতকাল শুক্রবার বলেন, খান ইউনিস শহরে আগ্রাসনের কারণে অনেক মানুষ মিসরসংলগ্ন রাফাহ শহরের দিকে পালিয়েছে। এখন রাফাহ শহরকে অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু বানানোর অর্থ হলো ওই অঞ্চলকে ‘দুরাশার প্রেশার কুকার’-এ পরিণত করা। সূত্র: দেশ রুপান্তর
পাকিস্তান: যে দেশের নির্বাচনে ‘সেনাসমর্থন’ গুরুত্বপূর্ণ
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে নাটকীয় ঘটনা ঘটছে প্রায় দুই বছর ধরে। ২০২২ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। সেই সংকট এখনো চলমান। এরই মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই নির্বাচনে জনগণ নয়, সামরিক বাহিনী ঠিক করে দেবে—পাকিস্তান কে চালাবে। পিটিআই ক্ষমতা হারালে অন্য দলগুলোর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লে গত আগস্টে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকার। তিনিই নির্বাচনী সরকারের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ১৭ হাজার শিশু: জাতিসংঘ
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর তেল আবিবের নৃশংস হামলায় প্রায় ১৭ হাজার শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বা সঙ্গীহীন হয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের জরুরি শিশু তহবিল বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। প্রায় চার মাস ধরে চলা ইসরায়েলের এ হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা। খবর আল জাজিরা।ফিলিস্তিনে নিযুক্ত ইউনিসেফের কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের আঞ্চলিক প্রধান জোনাথন ক্রিকক্সের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় এখন ঘর ছাড়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৭ হাজার যা মোট বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর প্রায় এক শতাংশ। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা বলেন, গাজার প্রতিটি শিশুর একটি হৃদয়বিদারক শোকাতুর গল্প রয়েছে। সঙ্গীহীন বা পরিবার বিচ্ছিন্ন এই শিশুদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, গাজার প্রতিটি শিশুর জন্য অনিশ্চিত ভয়ঙ্কর ভবিষ্যত সামনে অপেক্ষা করছে। কারণ এসব শিশুর পরিচয় সনাক্ত করা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে আনা এমন শিশুর কথা তিনি জানিয়েছেন যারা তাদের নামও ঠিক মত বলতে পারে না। এছাড়া এসব শিশুর অনেকেই তাদের পরিবারের সবাইকে হারিয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। সূত্র: বণিক বার্তা
ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার জবাবে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ও এর সমর্থনকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে জর্ডানে ওই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে। এরপর গতকাল প্রথমবারের মতো প্রতিশোধমূলক হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখানেই শেষ নয়, সামনে আরও হামলা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও মার্কিন বাহিনী ইরানের অভ্যন্তরে লক্ষবস্তুগুলোতে হামলা চালায়নি, তবে তাদের এই হামলা গাজায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।মার্কিন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন মজুদ সুবিধা এবং লজিস্টিক ও যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ চেইন সুবিধাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।তারা জানিয়েছে, সিরিয়ায় চারটি স্থান ও ইরাকে তিনটি স্থান মিলিয়ে ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
৩০ মিনিটে ইরানের ৮৫ লক্ষ্যবস্তু গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি আমেরিকার
এক সময়ের মধ্যপ্রাচ্যের ত্রাশ জেনারেল কাশেম সুলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ এখনো নিতে পারেনি ইরান। তবে জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার সপ্তাহ না পেড়োতেই ভয়াবহ তাণ্ডব দেখাল পেন্টাগন। মাত্র ৩০ মিনিটে ইরাক-সিরিয়ায় ইরানের ৮৫টি স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যেন জানান দিয়েছে তাদের প্রতিশোধের আগুন কতোটা উত্তপ্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র যে কতোটা বারুদ হয়ে ছিলো তা অবশ্য বুঝতে দেয়নি ইরানকে। বাইডেন প্রশাসন বারবার বলে আসছিল, তারা যুদ্ধ চায় না তবে জর্ডানে তাদের ঘাঁটিতে হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত। এর জেরেই শুক্রবার এই হামলা চালানো হয়।যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এদিন ইরাকে তিনটি ও সিরিয়ায় চারটি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, সামরিক রসদভান্ডার এবং ড্রোন স্টোরেজ ইউনিট।মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমান হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে বি-১ বোমারু বিমানও ছিল। এসব বিমানে ১২৫টিরও বেশি নির্ভুল নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করা হয়। এই হামলাকে গত রোববার সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামরিক ঘাঁটিতে ওই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন এবং আহত হন ৪১ জন। সূত্র: কালবেলা