আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ দশ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন প্রশ্নে ‘নমনীয়তা’ দেখাতে পারে বিএনপি

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেবে না বিএনপি। তবে দলের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে এবার নমনীয়তা দেখানো হতে পারে বলে জানা গেছে। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিএনপি দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে শিগগির দলের স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তাঁরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার প্রশ্নে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক লাভ-ক্ষতি নিয়ে ভাবছেন। বিশেষ করে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকার এর থেকে কী ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা পাবে। আর নির্বাচন না করলে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
এবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে না করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে এ নির্বাচনে ‘নৌকা’ প্রতীক এবং আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে না। তাতে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সরকারি দলের ‘একতরফা’ প্রভাব কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। সূত্র: প্রথম আলো

প্রকৌশলীর কাজ করছেন চিকিৎসক

দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকার বিপুল অর্থ বরাদ্দ দিলেও তা পুরোপুরি ব্যয় করতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যোগ্য লোক ও অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন পিছিয়ে পড়ছে, তেমনি বরাদ্দ করা অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় হচ্ছে না।পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো বছরই স্বাস্থ্য খাতে ৮০ শতাংশের বেশি এডিপি বাস্তবায়িত হয়নি।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নমূলক কাজে মূলত প্রকৌশলীদের প্রয়োজন হলেও এসব কাজের দায়িত্বে থাকছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকরা। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে তাঁরা এসব প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। এতে প্রকল্প যেমন পিছিয়ে পড়ছে, এ খাতে বরাদ্দ করা অর্থও খরচ হচ্ছে না।হাসপাতালগুলোতে দেখা যায়, দেশে প্রতিবছর চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও করোনার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সঠিক চিকিৎসার অভাবে অকালে প্রাণ যাচ্ছে অনেকের। সূত্র: কালের কণ্ঠ

পূর্বাচল সড়কের গোড়ায় গলদ
‘বাবুগিরি’ চিন্তায় ক্ষতি ৫২৪ কোটি টাকা
এই এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্তের সড়ক সরু হওয়ায় তেমন কোনো সেবা মিলবে না -সাবেক সভাপতি, বিআইপি

অল্প সময়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে এক্সপ্রেসওয়ে করা হয়। অথচ পূর্বাচল সড়কে এক্সপ্রেসওয়ে করা হয়েছে মাত্র ১২ কিলোমিটার সড়কে, যার দুই প্রান্তে রয়েছে সরু সড়ক। মাঝখানে চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে নিছক ‘বাবুগিরি’ চিন্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা। তাদের হিসাবে অদূরদর্শী এমন পরিকল্পনায় সরকারের ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৫২৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৭৬৪ কোটি টাকায় তৈরি ওই সড়কে রাজধানীর সড়কের আদলে নির্মাণ করলে খরচ হতো সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি টাকা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীর সড়কগুলোর নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করে ঢাকা সিটি করপোরেশন। এই নগর সংস্থা এখন উত্তর ও দক্ষিণ দুটি নামে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে। ঢাকার দুই নগর সংস্থার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এক লেনের প্রতি কিলোমিটার সড়ক নর্দমা সংযোগসহ নির্মাণে তাদের খরচ পড়ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। তবে নর্দমার অংশ বাদ দিলে সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। এই হিসাব ধরলে রাজউক পূর্বাচল সড়কের ৮ লেনের ১২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে খরচ পড়ত ২৪০ কোটি টাকা। অথচ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে এক লেনের প্রতি কিলোমিটার সড়ক তৈরিতে খরচ করেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ স্বাভাবিক খরচের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি খরচ করেছে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে। আরও জানা যায়, রাজউকের পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে তড়িঘড়ি করেই তৈরি করা হয়েছে। এজন্য চলতি বছরের মাঝামাঝিতে আবার ভাঙতে হবে মেট্রোরেল-১ এর নির্মাণকাজ করতে। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের বিষয়টি আগে থেকে রাজউকের জানা থাকলেও তারা সেটা কর্ণপাত করেনি। যে কারণে বিলাসি চিন্তায় অতিরিক্ত খরচে নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়ের পুরো টাকাই অর্থাৎ ৭৬৪ কোটি ৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকাও পানিতে যাওয়ার শঙ্কা আছে। রাজউকের আগে ২০১৩ সালে পূর্বাচলের ওই সড়কে ৩০০ কোটি টাকা খরচে ৬ লেনের সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ওই ব্যয় বাড়িয়ে ৪২৪ কোটি টাকায় সড়ক নির্মাণকাজ শেষ করে। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

ঢাকা এখন আবর্জনার শহর
♦ সড়কে সড়কে ময়লার স্তূপ ♦ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না ♦ বর্জ্য পৃথক্করণ শুরু হয়নি এখনো

পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ পুলিশ বক্সের পাশে সড়কের ওপরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ছয়টি ময়লার কনটেইনার রয়েছে। আশপাশ এলাকার সব ময়লা এসব কনটেইনারে ফেলেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। তবে ময়লা বেশি হওয়ায় কনটেইনার ভরাট হয়ে নিত্য রাস্তায়ও স্তূপ হয়ে যায়। এরপর টোকাইরা প্লাস্টিক বোতলসহ অন্যান্য পণ্য আলাদা করার সময় ময়লাগুলো যত্রতত্র ছিটিয়ে রাখে। ফলে নাকে-মুখে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের। একই অবস্থা শ্যামবাজারের সামনের সড়কটির। বাজারের একটু পুবে রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। বেশির ভাগই কাঁচাবাজারের বর্জ্য। রাস্তার ওপরে ময়লা রাখায় যানজট ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা। একই অবস্থা রামপুরা বাজারের সামনের প্রধান সড়কে। বাজারের উত্তর পাশে ওয়াপদা রোডের মাথায় বাজারেরসহ আশপাশ এলাকার ময়লা ফেলে ভাগাড় তৈরি করা হয়েছে। দিন-দুপুরে ময়লা ফেলে স্তূপে পরিণত করে। এসব ময়লার দুর্গন্ধে পথচারী ও আশপাশের দোকানিরা অতিষ্ঠ। সরেজমিনে ঢাকার এসব স্থানের চিত্র এমনই দেখা যায়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

দুর্বল সংগঠন ও নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তিত নেতাকর্মী

টানা ১৫ বছরে তিনটি নির্বাচনের আগেই দাবি আদায়ের আন্দোলন ‘ব্যর্থ’ হওয়ায় চিন্তিত বিএনপি নেতাকর্মী। সবার মনে একটাই প্রশ্ন– সরকার কি এবারও দমনপীড়নের মাধ্যমে পাঁচ বছর টিকে যাবে? নাকি বৈশ্বিক চাপ, অর্থনৈতিক সংকট এবং আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগে বাধ্য হবে– এমন হিসাবনিকাশ ও আশা-নিরাশার দোলাচলের মধ্য দিয়ে সময় যাচ্ছে বিরোধী নেতাকর্মীর। একই সঙ্গে দলের ভেতরের সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের দুর্বলতা নিয়েও চলছে আত্মসমালোচনা। ফের ঘুরে দাঁড়াতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যর্থ ও নিষ্ক্রিয়দের বাদ দিয়ে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠনের তাগিদ দিয়েছেন তারা। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপ করে এমন অভিমত পাওয়া গেছে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদের শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণেরও তাগিদ দিয়েছেন নেতাকর্মী। একই সঙ্গে দলের ভেতর সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণতান্ত্রিক চর্চা জোরদার ও ভোটের মাধ্যমে ‘ঢাউস কমিটি’র বদলে ছোট ও সময়োপযোগী কমিটি গঠন করার যুক্তি দিয়েছেন। নিষ্ক্রিয়দের বাদ, বয়স্ক ও অসুস্থদের স্থায়ী কমিটি থেকে উপদেষ্টা (উপদেষ্টাদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা তুলে ‘সম্মানীত উপদেষ্টা’ করা) করার পাশাপাশি সক্রিয় ও পোড় খাওয়া যোগ্যদের মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়েছেন মাঠকর্মীরা। দলে পদায়নে সিনিয়রিটি বজায় রাখার ব্যাপারেও গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, অতীতে এটি লঙ্ঘিত হওয়ায় অনেকে মনঃকষ্টে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। সূত্র্র; সমকাল

দ্রব্যমূল্যে দুশ্চিন্তা সরকারে

বিদেশিরা কী করল, কী করল না তা নিয়ে ভাবছে না সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারকদের দাবি, তাদের ভাবনায় এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টেনে ধরা। যেকোনো মূল্যে নাগালের বাইরে চলে যাওয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চায় সরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে জনজীবনের বিরূপ প্রভাব নানামুখী বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে সরকারকে। এই ভাবনা থেকে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বৈঠক করবেন। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। বাজার নিয়ে নয়ছয় করা ব্যবসায়ীদের শাস্তির ধরন নিয়ে সরকারের চিন্তা আছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ নেতাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

তিন মানিব্যাগে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ, বিমানবন্দরে দুবাইফেরত যাত্রী গ্রেপ্তার

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এম মাসুদ ইমাম নামের এক যাত্রীর মানিব্যাগ থেকে তিন কোটি পনেরো লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এম মাসুদ ইমাম নামের এক যাত্রীর মানিব্যাগ থেকে তিন কোটি পনেরো লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় দুবাই থেকে ঢাকার বিমানবন্দরে এয়ারলাইনসের একে-৫৮৪ স্বর্ণসহ ওই যাত্রীকে ১০ নং বোর্ডিং ব্রিজে যুক্ত হওয়ার পর বিমান থেকে আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা বেগম বলেন, দুবাই থেকে ঢাকায় আগত এমিরেটস এয়ারলাইনসের একে-৫৮৪ ফ্লাইটে স্বর্ণের চোরাচালানের গোপন তথ্য পাওয়া যায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বিমানটি ১০ নং বোর্ডিং ব্রিজে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানে ২৬কে সিটের যাত্রী এম মাসুদ ইমামকে শনাক্ত করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি চামড়া সদরে মানিব্যাগের ভেতর থেকে বড় আকৃতির স্বর্ণের কয়েন পাওয়া যায়। পরে আবার তল্লাশি করে আর দুটি সদৃশ মানিব্যাগ পাওয়া যায়। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

অর্থ নেই, পাইপলাইন নেই, বাড়তি এলএনজি কেনাবেচার চুক্তি হয়ে যাচ্ছে

জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ বাড়াতে ২৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাইপলাইন (মহেশখালী/মাতারবাড়ী-বাখরাবাদ) নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এ প্রকল্প এখন পরিকল্পনা কমিশনে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪০ কোটি ডলার। এ অর্থের উৎস নিয়ে এখনো নিশ্চিত নয় সরকার। যদি চলতি বছরও কাজ শুরু হয়, পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হতে সময় লেগে যাবে অন্তত ২০২৯ সাল। পাইপলাইন বা অর্থের জোগান নিয়ে নিশ্চিত না হলেও এরই মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি তিনটি এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই করেছে পেট্রোবাংলা। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এলএনজি আমদানি ও পাইপলাইনের কাজে সমন্বয় না থাকলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে পেট্রোবাংলাকে। পেট্রোবাংলার নতুন ও অপেক্ষমাণ চুক্তিগুলোর আওতায় ২০২৬ সাল নাগাদ দেশে সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন টন অতিরিক্ত এলএনজি আসার কথা রয়েছে। এ পরিমাণ এলএনজি আনতে বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার গুনতে হবে সংস্থাটিকে। যদিও এমন এক সময় এসব চুক্তি করা হচ্ছে, যখন সংস্থাটি বিদ্যমান চুক্তির আওতায়ই এলএনজি আমদানির অর্থ সংস্থান করতে পারছে না। আমদানির অর্থ পেতে কখনো গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ), আবার কখনো বিদেশী ঋণের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে সংস্থাটিকে। এলএনজি আমদানিতে পর্যাপ্ত অর্থের জোগান ও পরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণকেই এখন পেট্রোবাংলার বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও। সূত্র: বণিক বার্তা ্

বৃহৎ পাঁচ সেতু নির্মাণে এনডিবির অর্থায়ন চায় সরকার
ইতঃপূর্বে ব্রিকস ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত– চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)-র কাছে পাঁচটি সেতু নির্মাণে ঋণ চেয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে পাঁচ প্রকল্পে আনুমানিক ৮.৮৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে বলে সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বরিশালের সাথে ভোলার সংযোগ স্থাপনে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ( বা ১.৬১৫ বিলিয়ন ডলার)। প্রায় ৩১ হাজার ২০০ কোটি টাকা (২.৮ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে। কালাবদর ও তেতুলিয়া নদীর ওপর প্রস্তাবিত সেতুটি বরিশালের মূল ভূখণ্ডের সাথে ভোলার সড়ক সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশে নির্মাণ করা হবে বলে জানায় সেতু বিভাগ। সেতু বিভাগের অন্য তিনটি প্রকল্প যার জন্য এনডিবিতে ঋণ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, সেগুলো হলো: বাকেরগঞ্জ-বাউফল সড়কে কারখানা নদীর ওপর একটি সেতু, মেঘনা নদীর ওপর ভোলা-লক্ষ্মীপুর সড়কে একটি এবং কক্সবাজারের মহেশখালী চ্যানেলের ওপর একটি টানেল বা সেতু। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

পাঠ্যবইয়ে এবারও ভুলের ছড়াছড়ি
যাচাই করছে এনসিটিবি

‘পাঠ্যবইয়ে ভুল’ যেন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও পাঠ্যবইয়ে শতাধিক ভুল পেয়েছেন তারা। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যোগ হয়েছে বিভিন্ন সাইট বা ব্লগ থেকে কপি করার প্রবণতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মার্চ মাসে ভুল যাচাই করে সংশোধন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, বইয়ে ভুলের বিষয়ে লেখক ও সম্পাদককে দায় নিতে হবে। পাশাপাশি বই লেখা ও সম্পাদনায় আরও সতর্ক থাকতে হবে। গত বছর থেকে দেশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের বই যায়। চলতি বছর গেছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এসব বইয়ের মধ্যে বিশেষ করে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ে ভুলের পরিমাণ বেশি।সব ভুল পাওয়া গেছে: বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির বাংলা বানান রীতি অনুসরণের কথা বলা হলেও অনেক বানানেই সেই নীতি অনুসরণ করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই ণত্ববিধান ও ষত্ববিধানের নিয়ম মানা হয়নি। মাধ্যমিক স্তরের বাংলা বইয়ে লেখক ও কবি পরিচিতি দেওয়া হয়েছে একেবারে সংক্ষিপ্ত আকারে। এ ছাড়া মলাটে এক শ্রেণি এবং ভেতরে অন্য শ্রেণির বই লেখা হয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে। সূত্র: কালবেলা