রমজানের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি বেশ কঠিন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৪

ছবি: ফ্র্যাঞ্চ ২৪

গাজায় পবিত্র রমজান মাসের মধ্যে হামাস ও ইসরায়েলের পক্ষে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাছাড়া পূর্ব জেরুজালেমের চলমান সহিংসতা নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খবর এএফপির।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকার্তরা জানিয়েছেন, গাজার আল-শিফা হাসপাতালে অপুষ্টিজনিত ও পানিশূন্যতায় আরও তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে সেখানে এই সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে।

গাজা উপত্যকায় গত পাঁচ মাস ধরে চলতে থাকা সংঘাত থামাতে আসন্ন রমজান মাসে কি দুপক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে? যুক্তরাষ্ট্রের রোজভ্যালিতে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জো বাইডেন বলেন, ‘এটা বেশ কঠিন বলেই মনে হচ্ছে।’ আগামীকাল রোববার (১০ মার্চ) থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিমদের সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস রমজান শুরু হতে পারে।

রমজান মাস শুরু হতে যাওয়ায় ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে বলে নিজের শঙ্কা কথা জানান বাইডেন। এ ধরনের সতর্ক বার্তা তিনি গত সপ্তাহের শুরুতেও দিয়েছিলেন।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার হামাসের সশস্ত্র উইং সমর্থকদের পূর্ব জেরুজালেমে পবিত্র আল আকসা মসজিদ এলাকায় জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অতীতেও এই মসজিদ প্রাঙ্গণে সহিংসতার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে।

হামাস আরও জানায়, তারা তাদের আন্দোলনের মূল দাবিরে প্রশ্নে কোনো আপসে যাবে না। এই দাবির মূল বিষয়বস্তু হলো ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। দাবি পূরণ হলেই কেবল হামাস তাদের হাতে থাকা ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি দেবে।

Nagad

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও হামলায় গাজায় ৩০ হাজার ৮৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে ৭২ হাজার ৪০২ জন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।অন্যদিকে গাজায় নারীদের ওপর চলা ভয়াবহ নির্মমতার চিত্র স্মরণ করিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা। শক্রবার (৮ মার্চ) এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রতিদিন ৬৩ জন নারী প্রাণ হারাচ্ছেন।

সংস্থাটি জানায়, সেখানে থাকা নারীরা প্রতিদিন যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করছেন।