এই শত্রুদের খুঁজে বের করতে জনগণের সহযোগিতা চাই: প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় যারা নাশকতা চালিয়েছে তাদের ধরতে দেশের জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন- যারা এই ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, আনাচে-কানাচে যেসব হামলাকারী লুকিয়ে আছে, তাদের খুঁজে বের করে সাজা নিশ্চিত করতে দেশের জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে। এই শত্রুদের খুঁজে বের করতে জনগণের সহযোগিতা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়ত অতীতের মতোই অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। এবার তারা আলাদা…। তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দেশের বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মানুষের রুটি রুজি বন্ধের পাঁয়তারা করছে তারা।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত রামপুরার বিটিভি ভবন পরিদর্শন শেষে এ সব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের রাজাকার বলে স্নোগান দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়ত অতীতের মতোই অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। এবার তারা আলাদা…। তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দেশের বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মানুষের রুটি রুজি বন্ধের পাঁয়তারা করছে তারা।

Nagad

এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবনের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন কেন্দ্রটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া রাজধানীর রামপুরায় একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিটিভি ভবন ও বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত সপ্তাহে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। শিক্ষার্থীদের এ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং কয়েকশ আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়, ধাপে ধাপে যা শিথিল করছে সরকার।