আহতদের দেখতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি আহতদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় আহতদের কাছে বর্বরতার কথা শুনে প্রধানমন্ত্রীকে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।


আঘাতের তীব্রতা দেখে এবং নৃশংসতার কথা শুনে শেখ হাসিনা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি এ সময় অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি।
পরিদর্শনকালে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এর আগে গত কয়েক দিনে প্রধানমন্ত্রী আহত অন্যান্যদের দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটোর), বহুল পরিচিত পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
তিনি আহতদের যথাযথ চিকিৎসার আশ্বাস দেন এবং তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী মিরপুর-১০–এ ভাঙচুর হওয়া মেট্রো রেলস্টেশন, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ভবন এবং মহাখালীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত-কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে প্রাণঘাতী সংঘাতে জড়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরবর্তী কয়েকদিন সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ২৪ ও ২৫ জুলাই ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সীমিতভাবে চলে সরকারি-বেসরকারি অফিস। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার (২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই) অফিস চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।