‘এটুপি সেবা’ চায় আইজিডব্লিউ অপারেটররা, না পেলে টিকে থাকা অনিশ্চিত

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২৬, ২০২৫

আন্তর্জাতিক কলনির্ভর আইজিডব্লিউ (ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে) অপারেটররা বলছেন, আন্তর্জাতিক এসএমএস (এটুপি) আদান-প্রদানের সুযোগ না পেলে তাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই সেবা চালুর অনুমোদন দিলে সরকার বছরে ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে বলে দাবি তাদের।

রোববার (২৫ মে) রাজধানীর রাওয়া কমপ্লেক্সে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজিত কর্মশালা ও ব্রিফিংয়ে এই দাবি জানান আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরামের (আইওএফ) নেতারা।

মীর টেলিকমের সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল হান্নান জানান, ২০০৮ সাল থেকে আইজিডব্লিউ খাত সরকারকে দিয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অথচ ২০১৫ সালে দৈনিক ১০ কোটি কল থাকলেও এখন তা নেমে এসেছে ১ কোটি ২০ লাখে। তারপরও তারা প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছে।

আইওএফ সভাপতি আসিফ সিরাজ রব্বানী বলেন, মোবাইল অপারেটররা আন্তর্জাতিক এটুপি এসএমএসে সরকারকে যা দেয়, তার চেয়ে ৮ গুণ বেশি রাজস্ব দিতে পারবে আইজিডব্লিউ অপারেটররা। “আমরা টিকে থাকার জন্য এটুপি এসএমএস সেবা চালুর সুযোগ চাই।”

কর্মশালায় জানানো হয়, নতুন টেলিকম আইন অনুযায়ী আইজিডব্লিউ লাইসেন্স বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এতে কর্মসংস্থান হারানোর পাশাপাশি, বিদেশি স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ফোরামের নেতারা।

উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে মোবাইলে কেউ যখন দেশে কল করেন তখন প্রথম কলটি রিসিভ করে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে বা আইজিডব্লিউ অপারেটর। এরপর কলটি আইসিএক্স অপারেটর হয়ে নির্দিষ্ট মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছায়। বর্তমানে ২৯টি অপারেটর কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত সরকারকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব দিয়েছে আইজিডব্লিউ অপারেটররা।

Nagad