২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি, স্বস্তিতে ভোক্তা
বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কিছুটা স্বস্তির খবর। চলতি বছরের জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা গত ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সোমবার (৭ জুলাই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।


এর আগে, মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে ০.৫৭ শতাংশ কমে এই হার এখন ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ, প্রায় দুই বছরের বেশি সময় পর মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের নিচে নামল।
মূল্যস্ফীতির এই পতনের পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে খাদ্যপণ্যের দাম কমে আসা। বিবিএস জানায়, জুন মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা মে মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছেন সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি জুন মাসে সামান্য কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।
কেন কমল মূল্যস্ফীতি?
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির হার হ্রাসের পেছনে মুদ্রানীতিতে কঠোরতা, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ডলারের বিপরীতে টাকার স্থিতিশীলতা এবং কিছু পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়া বড় ভূমিকা রেখেছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক মুদ্রানীতি এবং রাজস্ব কর্তৃপক্ষের কড়াকড়িও মূল্যস্ফীতিতে নিয়ন্ত্রণ আনতে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশ সতর্ক করে বলছেন, মূল্যস্ফীতি কমে এলেও তা এখনো নীতিগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় যেমন বাড়ি ভাড়া, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে খরচ এখনো ভোক্তাদের জন্য চাপ হয়ে আছে।
তারা মনে করেন, টেকসইভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি সরবরাহ ব্যবস্থা মজবুত করতে হবে।