আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২২

স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব: সুস্থ আসাদুল্লাহর হাত-মুখ বেঁধে নেওয়া হয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে

রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা এম এম আসাদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী খাদিজা আক্তারের পারিবারিক কলহ চলছিল। কলহের জেরে একটি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন খাদিজা। আসাদুল্লাহকে ধরে নিয়ে যেতে ওই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আটজনকে বাসায় পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে ছয় ব্যক্তি ফ্ল্যাটে ঢুকে ঘুমন্ত আসাদুল্লাহর হাত ও মুখ বাঁধেন। এরপরে আসাদুল্লাহকে টেনেহিঁচড়ে বাসার নিচে নামিয়ে মাইক্রোবাসে তোলা হয়। আসাদুল্লাহর খোঁজ না পেয়ে পুলিশের কাছে যান তাঁর বোন জান্নাতুল নাঈম। এ ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আসাদুল্লাহকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর রূপনগর এলাকার বাসা থেকে আসাদুল্লাহকে তুলে নিয়ে যান খিলক্ষেতের গাইডেন্স নামের একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন। এ ঘটনায় ওই বছর নভেম্বরে আদালতে মামলা করেন আসাদুল্লাহ। মামলায় খাদিজা আক্তার, গাইডেন্স মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুজ্জামান জলিলসহ চারজনকে আসামি করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো

খরচ কমিয়েও চলা দায়
চাল, ডাল থেকে শুরু কইরা সব জিনিসের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে ছয়জনের পরিবারের খাবারই জোগাইতে পারতাছি না। আলু ভর্তা, ডাইল, কম দামি সবজি খাইয়া না খাইয়া দিন কাটাচ্ছি। চা, বিড়ি খাওয়া কমাই দিছি। এত কিছুর পরও চলতে পারতাছি না।রাজধানীর নতুনবাজার বাসস্টেশনসংলগ্ন ফুটপাতে ভাসমান শ্রমিক হাটে গতকাল সকাল ৭টার দিকে কথাগুলো বলছিলেন আব্দুর নূর (৫০)। দিনমজুরি করে চলা আব্দুর নুর জানান, তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়। নদ্দা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামে আমার চাষবাসের জমি নাই। ১০-১২ বছর ধইরা এই হাটে আসি। ইদানীং জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, এরপর থেইকা এই হাটে লোকজন বাইড়া গেছে। আগের মতো কাজ পাই না। তাই পরিবার নিয়া চলতে পারতাছি না। ছেলে দুইটা ছোট, দুই মেয়ের জন্যও কোনো কাজ পাইতাছি না। তাই ছেলে-মেয়ে-বউরে গ্রামের বাড়ি পাঠায় দিতে হইবো। আমার লগে এই হাটে আসা দুই-একজন এরই মধ্যে পরিবার গ্রামে পাঠায় দিছে। ’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ
বাধা পেরিয়ে খুলনায় জনস্রোত
নিরাপদে সরে যান না হলে গণঅভ্যুত্থানে পতন হবে * আটকাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না-মির্জা ফখরুল

সব বাধা উপেক্ষা করে শনিবার খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে। বাস, লঞ্চ বন্ধ থাকায় ট্রাক, পিকআপ, বালুবাহী ট্রলার ও ট্রেনে নেতাকর্মী সমর্থকরা খুলনায় পৌঁছান। অনেকে মাইলের পর মাইল হেঁটে সমাবেশে যোগ দেন। সকাল থেকেই খুলনার প্রবেশপথে ক্ষমতাসীনরা লাঠিসোঁটাসহ অবস্থান নেন। কিন্তু সংঘাতে না জড়িয়ে কৌশলে এসব বাধা পেরিয়ে সমাবেশ যোগ দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে যাওয়া এবং আসার পথে কয়েকটি স্থানে নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। দুপুরে দৌলতপুরে নতুন রাস্তায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে বিকালে খালিশপুরের বৈকালীর মৌড়ে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ক্ষমতাসীনরা। এ ছাড়া রেলস্টেশনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে তিন নেতাকর্মী আহত হন। গণসমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ন্যক্করজনক বাধা সত্ত্বেও নেতাকর্মীদের আটকাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। রাজপথেই হবে ফয়সালা। তাই সরকারকে বলছি, মানে মানে সরে যান। সূত্র: যুগান্তর

প্রশ্নপত্র ফাঁসে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
পাঁচজন ছয় দিনের রিমান্ডে

Nagad

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার পরই প্রশ্নফাঁস ও বিতরণের পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী পরীক্ষার আগের দিন চার-পাঁচজন ওই প্রশ্ন ফাঁস করে। পরে সেগুলো ২ থেকে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে সরাসরি ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। গরিব পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি কিংবা জমি লিখে দেওয়ার শর্তে সই নেওয়া হয় নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। ওই চক্রের সঙ্গে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছেন। এ ঘটনায় বিমানের পাঁচ জুনিয়র কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ। তারা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমটি অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ভূঁইয়া ও মো. এনামুল হক এবং অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন ও হারুনুর রশিদ। তাদের কাছ থেকে ফাঁস করা প্রশ্নের সফট ও হার্ডকপি, মোবাইল ফোন, দেড় লাখ টাকা, ব্যাংকের চেক, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করা দলিল, হিসাব-নিকাশের চারটি ডায়েরি এবং বেশ কয়েক প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজনকে ছয় দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

মানবসম্পদে নতুন রূপ রূপপুরে

পরমাণু চুল্লি পাত্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত ধাপে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ। ভৌত অবকাঠামোগত নির্মাণসহ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা। দীর্ঘ নির্মাণ দক্ষতা পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন এ দেশের সাধারণ শ্রমিকরাও। তাদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রোসাটম। প্রকল্প শেষে এসব দক্ষ মানবসম্পদের বিদেশে কাজের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।দেশের প্রথম পরমাণুনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আট বছর ধরে পাবনার রূপপুরে চলছে বিরামহীন কর্মব্যস্ততা। একসময় অলীক কল্পনা মনে হলেও, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দৃশ্যমানতা নিভৃত গ্রাম রূপপুরের পরিচিতি এনে দিয়েছে বিশ্বময়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারী ও বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এগিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম ইউনিটে নিউক্লিয়ার চুল্লিপাত্র স্থাপনের পর দ্বিতীয় ইউনিটেও তা বসছে নির্ধারিত সময়ের আগেই। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার নির্দেশনা মেনে, বিদেশনির্ভরতা নয়, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় দেশীয় প্রকৌশলীদের ওপরই আস্থা রাখতে চায় বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণসহ সব সহযোগিতা দিচ্ছে রাশিয়ান রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটম। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ইউক্রেন যুদ্ধের ছয় মাস আগেই রিজার্ভের ক্ষয় শুরু

গত এক বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয় হয়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। ৪৮ বিলিয়ন ডলারে ওঠা রিজার্ভ এখন নেমে এসেছে ৩৫ বিলিয়নে। স্বল্প সময়ে রিজার্ভের এ অস্বাভাবিক ক্ষয়ের কারণ হিসেবে নীতিনির্ধারকরা ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করে আসছিলেন। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্রই তুলে ধরছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ছয় মাস আগেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয় হতে শুরু হয়। এর সূত্রপাত রিজার্ভ থেকে অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রির মাধ্যমে। গত বছরের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ১ হাজার ২০৭ কোটি বা ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে শুধু চলতি বছরই ৯৫৯ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। আমদানি দায় ও বিদেশী ঋণ পরিশোধের চাপের কারণেই রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করতে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের জুলাই পর্যন্ত বাজার থেকে ডলার কেনার ধারায় ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পর থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ৩১ কোটি ডলার বিক্রি করা হলেও পরে তা ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তিন মাসে বিক্রি করা হয়েছিল ১৫৪ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চে ১৫৬ কোটি ও এপ্রিল-জুনে ৩৫৮ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ১ বিলিয়ন ডলার বাজারে বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর থেকে প্রতি মাসে বিক্রি করতে হচ্ছে দেড় বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জুলাই থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে ৪৪৫ কোটি ডলার। সূত্র: বণিক বার্তা ।

তুলার দাম পড়ে গেছে, আগে বেশি দামে কেনা তুলার মজুদ নিয়ে বিপাকে মিলাররা

মাত্র এক বছর আগেও বিশ্বব্যাপী পোশাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কারণে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠে গিয়েছিল তুলার দাম। এর ফলে টেক্সটাইল শিল্প রীতিমতো খাবি খাচ্ছিল। মূল্য আরও বেড়ে গেলে যাতে সেই ধাক্কা সামাল দেওয়া যায়, সেজন্য অনেক শিল্পোদ্যোক্তাই তখন মজুদ বাড়াতে বেশি দামে তুলা কিনে রাখেন। কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কিন্তু অপর বিকল্প ছিল অপেক্ষা করা। কিন্তু বাংলাদেশে হেজিংয়ের প্রচলন নেই বলে দাম আরও বেড়ে যায়। হেজিং মানে ঝুঁকি হ্রাস বা নিয়ন্ত্রণ করা। বিশ্বজুড়ে মন্দার পূর্বাভাস দেখা দিতেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়, কমে যায় তুলার দাম।ইসিই ফিউচারস ইউএস-এর তথ্য বলছে, কাঁচামালের দাম পাঁচ মাসের ব্যবধানে ৪৯ শতাংশ কমেছে। গত মে মাসে প্রতি পাউন্ড তুলার দাম ছিল ১.৫৫ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ০.৭৩ ডলার।এতে স্থানীয় স্পিনিং মিলমালিক ও পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের স্বস্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু স্থানীয় টেক্সটাইল খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই স্বস্তিতে নেই, বরং বিপুল পরিমাণ লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন। কারণ বেশি দামে কেনা তুলা এখনও তাদের গুদামে রয়ে গেছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বাংলাদেশের অর্থনীতি: আর্থিক সংকট সামলাতে কী ভূমিকা রাখতে পারবে আইএমএফের ঋণ?

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে বাংলাদেশ যে সাড়ে চারশো কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল বুধবার বাংলাদেশে আসবে বলে কথা রয়েছে। গত বেশ কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। টাকার সাথে ডলারের বিনিময় হার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও ব্যায়ের ভারসাম্য ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সেই সংকট সামলাতেই এখন আইএমএফের কাছে ঋণ চাইছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে আইএমএফ কতটা ভূমিকা পালন করতে পারবে? কেমন হতে পারে তাদের শর্ত? সেটা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পালন করা কতটা সহজ হবে? সূত্র: বিবিসি বাংলা।

মহাসড়কে প্রবাসীর গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি, পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি
ডাকাত দলের দুই সদস্য এবং পুলিশের এক এএসআই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মধ্যরাতের এ ঘটনায়।

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রড ছুড়ে মেরে এক প্রবাসীর গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির সময় পুলিশের সঙ্গে গোলগুলি হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা এলাকায় এ ঘটনায় ডাকাত দলের দুই সদস্য এবং পুলিশের এক এএসআই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন সুইডেনফেরত আহমেদ হোসেনসহ আরো কয়েকজন।কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী জানান, সুইডেনপ্রবাসী ওই ব্যক্তি দেশে ফিরে ফেনীতে তার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ডাকাত দলের সদস্যরা চলন্ত গাড়িতে রড ছুড়ে মারে। চালক গাড়িতে কোনো সমস্যা হয়েছে মনে করে থামাতেই ডাকাতের কবলে পরেন। সূত্র: বিডি নিউজ

নতুন কারিকুলাম পাঠদানে স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপন অনিশ্চিত

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হচ্ছে। গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে বাস্তবভিত্তিক কারিকুলামের আদলে তৈরি হচ্ছে পাঠ্যবই। দেশের ৩২ হাজার বিদ্যালয়ে তৈরি করা হবে ডিজিটাল ক্লাসরুম। এজন্য মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও স্মার্ট ক্লাসরুমের ডিজাইন নির্ধারণ করে সংশোধিত প্রকল্পে যুক্ত করার কথা থাকলেও নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্তের কারণে ঝুলে আছে প্রকল্পটির কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন আইসিটি প্রকল্পের বেহাল দশা তৈরি হয়েছে। নতুন কারিকুলামের জন্য আইসিটি প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ আরও দু’বছর বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকলেও প্রায় এক বছর ধরে সব কার্যক্রম বন্ধ। ডিজিটাল ও স্মাট ক্লাসরুম স্থাপনে আইসিটি প্রকল্পের ডিপিপিতে কিছুটা সংশোধন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠালে তারা সেখানে কিছু কোয়ারি (সংশোধনী) দিয়েছে। সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সেটি অনুমোদন হওয়ার পর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সারাদেশে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আধুনিকায়নসহ দক্ষ এবং নতুন কারিকুলামের ওপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প’। এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল নির্ধারিত হয় জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেওয়ায় ক্রমশই পেছাচ্ছে বাস্তবায়নকাল। সূত্র: জাগো নিউজ