জজ মিয়াকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ‘জজ মিয়া’ সাজিয়ে কারাবাসে রাখা মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ রায়।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, ঢাকার ডিসি এবং মতিঝিল ও সেনবাগ থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ১১ বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়াকে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি।

২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ ও মুকুল প্রমুখ।

পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়া জজ মিয়াকে। সে সময় বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে।

Nagad

এদিকে নোটিশে ওই ঘটনার জন্য জড়িত ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের কাছ থেকে ওই ক্ষতিপূরণ আদায় করে জজ মিয়াকে দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লুৎফুজ্জামান বাবরসহ জড়িত ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আইনগত পদক্ষেপের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। নোটিশে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়।

তবে নোটিশে কোনো সাড়া না পেয়ে এবার হাইকোর্টে রিট করেন জজ মিয়া।