শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্বাচিপের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে স্বাচিপের নিজস্ব কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপকডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-র সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী (শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর সহধর্মিনী) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, (শহীদ ডা. আশ্রাফ আলী তালুকদার এর সন্তান)।

মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোঃ কামরুল হাসান মিলন এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ডা. অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, ডা. মোঃ ইহ্তেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবীর জগলুল, ডা. মোঃ শফিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. বদিউজ্জামান ভ‚ইয়া ডাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. জহুরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব হেলাল, ডা. মোঃ আবু রায়হান, ডা. চিত্তরঞ্জন দাস, ডা. সোহেল মাহমুদ, ডা. বেলাল এইচ সরকার, ডা. আফজালুল হক রানা, ডা. মোঃ জাবেদ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিল্পী এবং প্রকৌশলীসহ অনেক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে এবং এই কাজে বাংলাদেশীদের মধ্যে রাজাকার আল বদর, আল শামস বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করেছিল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত লাশ মিরপুর এবং রায়ের বাজার বধ্যভ‚মিতে পাওয়া যায়। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যায়নি, পাওয়াও যায়নি অনেকের লাশ। বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আজ যে দিবস পালিত হচ্ছে, তা স্বার্থক হবে, যদি আমরা তাদের উদার মানবিক চিন্তা ও আদর্শকে ধারন করতে পারি।

Nagad

শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ডা. আলীম চৌধুরী মেধাবী চিকিৎসক হিসেবে দেশে বিদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল তার। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকায় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর রাজাকারদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন। তার মূল্য দিতে হয় নিজের জীবন দিয়ে।

সভাপতি ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিজয়ের মাসে সমগ্র দেশ ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বজ্রশপথ নিতে হবে- যে কোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে দেশবিরোধী যড়যন্ত্রকারীদের, উপড়ে ফেলতে হবে তাদের হিংস্রবিষদাত, তা না হলে একাত্তরের মহান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে না কোনো দিন। তারা যে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই পথ ধরেই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাদের আদর্শ হোক আমাদের পাথেয়।

আলোচনা সভা শেষে স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সারাদিন/ ১৪ ডিসেম্ব