আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
অস্থির ডলার বাজার, কম মুনাফার কারণে প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ কমছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ডলার বাজারের অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রিমিয়াম বন্ডের মুনাফার হার কমানোয় সরকারি তিনটি বন্ডে প্রবাসীদের নিট বিনিয়োগ ৪৯ মিলিয়ন ডলার কমেছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল প্রবাসীরা বন্ডে বিনিয়োগ না করে সঞ্চিত অর্থ আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকার ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়। অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের মতে, বাংলাদেশিদের কাছে কম-রিটার্নের বন্ডে বিনিয়োগের চেয়ে এই আড়াই শতাংশ প্রণোদনাকে বেশি লাভজনক মনে হয়েছে।প্রবাসীদের জন্য তিনটি বন্ড সেভিংস স্কিম রয়েছে—ওয়েজ-আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড। তিন থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই বন্ড তিনটিতে সাড়ে ৬ শতাংশ ১২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যেত। কিন্তু এরপরই সুদের হার গড়ে ৪৪ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যাওয়া
১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বারবার সময় পেয়েও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আইনানুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যাবে, তাদের ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বছর শেষে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন থেকে ছয় মাস সময় দিয়েছে ইউজিসি। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। আর দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোথাও (অস্থায়ী ক্যাম্পাস) শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। ইউজিসি দিন কয়েক আগে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২২ সালের শুরুর দিকে ইউজিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আইনানুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি—দেশের এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে হবে। তা না হলে স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্যান্য ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব সিদ্ধান্ত তখন সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে দেশে ১০৮টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আইনানুযায়ী, প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক একর, অন্য এলাকার ক্ষেত্রে দুই একর জমি থাকতে হবে। সূত্র: প্রথম আলো
প্লট খালি তবু জমি চায় বিসিক
সারা দেশে বিসিকের ৮০টি শিল্পনগরীতে এখনো এক হাজার ২৪৪টি প্লট বরাদ্দ হয়নি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় এমন প্লট রয়েছে প্রায় ৪০০টি। এর পরও এসব জেলায় শিল্পায়নে প্রায় চার হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে বিসিকে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসংক্রান্ত প্রস্তাব জেলাগুলোর বিসিক কার্যালয় থেকে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।এখন তা যাচাই-বাছাই করবে শিল্প মন্ত্রণালয়।ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের কারখানা স্থাপন ও উৎপাদনের জন্য প্লট বরাদ্দ দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০ সালে বরিশালে প্রায় ১৩১ একর জমির ওপর শিল্পনগরী স্থাপিত হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে শিল্পনগরীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০। গত অক্টোবর পর্যন্ত এসব নগরীতে মোট প্লটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯২২। বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ৬৭৮টি। এক হাজার ২৪৪টি প্লটের বরাদ্দ এখনো বাকি। বরাদ্দ দেওয়া প্লটগুলোতে মোট পৌনে ছয় হাজারের মতো শিল্প ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে চার হাজার ৪৩৪টি। নির্মাণাধীন ৭৪৭টি এবং রুগণ বা বন্ধ ৫৫৯টি কারখানার কার্যক্রম। চালু থাকা শিল্প ইউনিটগুলোতে মোট ছয় লাখ ২৯ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
গাইবান্ধায় উপনির্বাচন
প্রথম দুই ঘণ্টা সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি
কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে গাইবান্ধা-৫ উপ নির্বাচনের পুনর্ভোট দেখতে বসা নির্বাচন কমিশন প্রথম দুই ঘণ্টায় সিসি ক্যামেরায় অনিয়মের কোনো দৃশ্য দেখতে পায়নি। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান মঙ্গলবার সবাইকে সতর্ক করে বলেন, অনিয়মের পুনরাবৃত্তি হলে ছাড় দেওয়া হবে না। অনিয়মের গ্র্যাভিটি দেখে সেই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটুকু বলতে পারি, কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় একেবারেই দেব না আমরা।গাইবান্ধার এ আসনে ৩২টি চরাঞ্চল রয়েছে। এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে দুটি আর প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে ইসির আইডিইএ প্রকল্পের ডিপিডি (কমিউনিকেশনস) স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’কনকনে শীতের মধ্যে এ নির্বাচনী এলাকার ১৪৫টি কেন্দ্রে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএমে চলছে, যা একটানা বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলার কথা। সূত্র: সমকাল
ভিডব্লিউবি প্রকল্প
৩০ কেজি চালের কার্ডেও প্রতিমন্ত্রী-নেতাদের ভাগ
সরকারের একটি প্রকল্পের আওতায় অসচ্ছল, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এ চাল বিতরণের বরাদ্দকৃত কার্ড প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রেসক্লাবের নামে ভাগাভাগির অভিযোগ উঠেছে। তা স্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা। বিপরীতে প্রকৃত সুবিধাভোগী হওয়ার যোগ্য নারীদের টাকার বিনিময়ে কার্ড নিতে হচ্ছে। কার্ডবঞ্চিত একাধিক অসচ্ছল নারী অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিন ইউপি সদস্যও।‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি)’ নামে প্রকল্পের ২০২৩-২৪ চক্রে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত কার্ডের সংখ্যা ৩ হাজার ২৫৩টি। গত ডিসেম্বরে ২৩ শতাংশ (৭৪৮টি) কার্ড প্রতিমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রেসক্লাবের নামে ভাগ হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
ব্যয় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা
মেগা ৮ প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৫.৪৯ শতাংশ
আইএমইডি’র প্রতিবেদন : পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের উদ্বোধন হলেও প্রকল্প শেষ হয়নি
চলমান কৃচ্ছ্র সাধনের পরোক্ষ প্রভাবেও থেমে নেই ফাস্টট্র্যাকভুক্ত মেগা ৮ মেগা প্রকল্পের কাজ।শুরু থেকে গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত এসব প্রকল্পের আওতায় খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রকল্পগুলোর গড় ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৭৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ২৬৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু এবং মেট্রোরেল (আংশিক) উদ্বোধন হলেও প্রকল্প শেষ হতে এখনো বেশ কিছুটা সময় বাকি। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অগ্রগতি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।প্রকল্পগুলো হলো-পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ এবং দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের সদ্য সাবেক সচিব মামুন-আল-রশীদ মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, কয়েকদিন আগে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এডিপির সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। মোট উন্নয়ন বরাদ্দের প্রায় ৮২ শতাংশই রয়েছে এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পে। সেখানে কোনো প্রকল্প পরিচালক বলেননি যে ডলার সংকটে মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃচ্ছ সাধনেরও কোনো প্রভাব অন্তত মেগা এই ৮ প্রকল্পের কোনোটিতেই পড়েনি। সূত্র: যুগান্তর
সরকারের সামনে ১০ চ্যালেঞ্জ
♦ মেগা প্রকল্পগুলো চালু ও উদ্বোধন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা ♦ মাঠপ্রশাসনে সমন্বয় ♦ শিক্ষাঙ্গন ও শিল্পাঞ্চলে স্থিতিশীলতা ♦ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ♦ বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা ♦ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইমেজ ফিরিয়ে আনা ♦ আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমন ♦ অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে তোলা ♦ ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে এলসিতে ডলারের জোগান ধরে রাখা ♦ রোহিঙ্গা শিবিরে নজরদারি বাড়ানো
আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে ১৪ বছর পার করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এক বছর। আর এ কারণেই এ নির্বাচনের আগে সরকারকে বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আগামী নির্বাচনের মাঠে নামতে হবে আওয়ামী লীগকে।সরকারের সামনে এখন নানামুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে, রয়েছে নানারকম ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক আমলাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে মোটা দাগে ১০টি চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিতে হবে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেগা প্রকল্পগুলো চালু ও উদ্বোধন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা, মাঠপ্রশাসনে সমন্বয়, শিক্ষাঙ্গন-শিল্পাঞ্চলে স্থিতিশীলতা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইমেজ ফিরিয়ে আনা, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে তোলা, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে এলসি খোলায় ডলারের জোগান ধরে রাখা, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমন, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নজরদারি বাড়ানো। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ‘চলতি বছর সরকারের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শুধু সরকার নয়, জনগণসহ সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপেও গাড়ি বিক্রি ও নিবন্ধনে নতুন রেকর্ড
বাংলাদেশে ব্যক্তিগত গাড়ির (প্রাইভেট প্যাসেঞ্জার কার) অন্যতম বড় ক্রেতা সরকার। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটে গত বছরের জুলাইয়ে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও সংবিধিবদ্ধ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ডলার সংকট তীব্র হতে শুরু করলে গাড়ি আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও গড়িমসি শুরু করে ব্যাংকগুলো। ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে গাড়ি আমদানির ঋণপত্র খোলা ‘প্রায় বন্ধ’। গাড়ি আমদানিতে আরোপ করা হয়েছে শতভাগ মার্জিন নীতি। সরকারের এমন নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের মধ্যেও দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি বিক্রি বেড়েছে। নিবন্ধনে আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি নয়, সামগ্রিকভাবে দেশে সব ধরনের গাড়ির নিবন্ধন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব বলছে, ২০২২ সালে দেশে ৫ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ ইউনিট গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে। এর আগের বছর নিবন্ধনের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩০ ইউনিট। গত বছর দেশে যত গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে তার ৮৮ শতাংশই মোটরসাইকেল। সূত্র: বণিক বার্তা
মেট্রোরেল: শুরুর উচ্ছ্বাস কমেছে, ঘুচেছে লাইনের অপেক্ষা
সপ্তাহের নির্দিষ্ট একদিন বন্ধ থাকার পর সূচি অনুযায়ী ফের চলতে শুরু করেছে মেট্রোরেল; প্রথম দিকের মত যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় আর না থাকায় লাইনে আর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না দীর্ঘ সময়। বুধবার সকালে আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ফটকে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে, যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন আর চাপ না থাকায় তারা যেন বেশ স্বস্তিতে।সপ্তাহের একদিন মঙ্গলবার মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। বাকি দিনগুলোতে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০ মিনিট পরপর চলে এ বৈদ্যুতিক ট্রেন। উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬০ টাকা দিয়ে ভ্রমণ করতে পারছেন যাত্রীরা।মেট্রোরেল: শুরুর উচ্ছ্বাস কমেছে, ঘুচেছে লাইনের অপেক্ষা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর শঙ্কা মাথায় নিয়েই বুধবার সকাল ৯টায় আগারগাঁও স্টেশনে এসেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহমেদ আব্দুল্লাহ নাফিস। প্রবেশ পথে যাত্রীদের লাইন আর চাপ না দেখে অবাক হওয়ার কথা জানালেন তিনি। সূত্র: বিডি নিউজ
কেন বিশেষ ব্যবস্থায় টাকা ধার করতে হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে?
তারল্য সংকট মেটাতে বিশেষ তহবিল থেকে বছরের শেষ কর্মদিবসে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে দেশের পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংক।এদের মধ্যে রয়েছে আট হাজার কোটি টাকা নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক মিলে নিয়েছে ৬৭৯০ কোটি টাকা।সাধারণত শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলো সুদের হিসাবে নয়, মুনাফা-লোকসানের হিসাবে টাকা ধার করে থাকে। কিন্তু তারল্য সংকটে থাকা এসব ব্যাংকগুলো নির্দিষ্ট অংকের সুদের হারের ভিত্তিতে এই টাকা ধার করতে বাধ্য হয়েছে।এজন্য প্রায় আট দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ গুনতে হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। তবে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একদিনের জন্য টাকা ধার নিতে হয়েছিল। শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকিং রীতি অনুযায়ী মুনাফার ভিত্তিতে সেটা নেয়া হয়েছে, সুদে নয়।” সূত্র: বিবিসি বাংলা ।
অস্থির ডলার বাজার, কম মুনাফার কারণে প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ