যাত্রী বেড়েছে ১১ গুণ, এক বছরে আয় ২৪৪ কোটি টাকা
রাজধানীর যানজটের শহরে একমাত্র স্বস্তির বাহন মেট্রোরেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টিকিট বিক্রি থেকে আয় করেছে প্রায় ২৪৪ কোটি টাকা। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএমটিসিএলের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলমান এমআরটি লাইন-৬ বর্তমানে ১৪টি ট্রেন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। ছয়টি বগির প্রতিটি ট্রেনের মোট ২৪ সেটের মধ্যে তিনটি সেট থাকে রিজার্ভে। ১৬টি স্টেশন নিয়ে গঠিত এই রুটে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক যাত্রী চলাচল করেন।


আগের অর্থবছর ২০২২-২৩-এ মেট্রোরেল আয় করেছিল প্রায় ২২ কোটি টাকা। তার তুলনায় বর্তমান বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১১ গুণ।
ডিএমটিসিএল জানায়, সবচেয়ে বেশি যাত্রী উঠেছে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন থেকে; এখান থেকে যাত্রীসংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ। এছাড়া উত্তরা উত্তর, মতিঝিল, আগারগাঁও, কারওয়ান বাজার ও সচিবালয় স্টেশন থেকেও এক কোটির বেশি যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহার করেছে।
তবে যাত্রী সংখ্যা কম এমন স্টেশনের মধ্যে রয়েছে উত্তরা দক্ষিণ ও বিজয় সরণি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। ২০২৩ সালের শেষ দিনে সব স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ১৫ কোটি ৭৫ লাখের মতো যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহার করেছেন।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, যাত্রীচাহিদা বাড়ায় মেট্রোরেল আরও ঘন ঘন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে লোকবল সংকটের কারণে রাতের বেলাতেও চলাচলের সুবিধা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।