আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৩

ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি দামে কেনা হচ্ছে চাল
ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারিতে প্রতি টন চালের দাম প্রায় ৪০ ডলার কম। এ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ।
বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানে প্রতি টনের দাম যথাক্রমে ৩৯৩ ও ৩৯৭ ডলার।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে যথাক্রমে ৪৩৩ ডলার ও ৪৩৬ ডলার।
সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতি লাখ টনে বেশি নিচ্ছে ৩৩ টি রুপি।

ভারত থেকে নতুন করে তিন লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দুই লাখ টন চাল সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) আমদানি করা হবে। বাকি এক লাখ টন আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কেনা হবে। ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমদানিপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে একই মানের চাল কেনায় ভারতের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতি টনে দামের পার্থক্য প্রায় ৪০ ডলার। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম সরকারি-বেসরকারি চাল কোম্পানির মধ্যে দামের ওই পার্থক্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একই মানের চাল ভারতের বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতি টন যথাক্রমে ৩৯৩ ও ৩৯৭ ডলার করে সরবরাহ করছে। কিন্তু জিটুজি পর্যায়ে ভারতের দুটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ৪৩৩ ডলার ৬০ সেন্ট ও ৪৩৬ ডলার ৫০ সেন্ট করে দাম ধরেছে। এরই মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভাবিষয়ক ক্রয় কমিটি ওই চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি পর্যায়ে ভারতের দুটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক লাখ টন করে এবং দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন করে চাল কেনা হবে। জানতে চাইলে খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিটি দেশে চালের দাম ওঠানামা করে। সরকারি পর্যায়ে চাল কেনার আলোচনা শুরু হয় গত অক্টোবরে। আলোচনা চূড়ান্ত হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। ওই সময়ের রপ্তানি মূল্য অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থার সঙ্গে চাল আমদানির দরদাম ঠিক হয়। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক দরপত্র দেওয়া হয়েছে গত ডিসেম্বরে। তখন চালের দাম কমে গেছে। ফলে কম দামে আমরা চাল কিনতে পারছি।’ সূত্র: প্রথম আলো

ব্যয় ২৫০০ কোটি টাকা বাড়তে পারে

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সময় বাড়ার সঙ্গে প্রকল্পের মোট খরচের প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ ব্যয় বাড়ানোরও প্রস্তাব উঠছে। সম্প্রতি প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানোর প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে সেতু বিভাগ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব তুলতে যাচ্ছে সেতু মন্ত্রণালয়। পাথরসহ নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়া, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনাসহ আরো কিছু কারণে প্রকল্প ব্যয় বাড়ছে।পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয় গত বছরের ২৫ জুন। পরদিন থেকে যান চলাচল শুরু হয়। সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুর কাজ শেষ ৯৯.৬০ শতাংশ। নদীশাসনের কাজ শেষ ৯৫.৭৫ শতাংশ। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হতে যাচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মেয়াদ। সব ধরনের কাজ মিলিয়ে গত মাস পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৯৫.৫০ শতাংশ। এখন এই প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব উঠতে যাচ্ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

পোটনকান্ডে সারের সর্বনাশ
ঠিকাদারির নামে মহাকেলেঙ্কারি, চলছে তদন্ত, ১৩৮২ কোটি টাকার সার গায়েব নিয়ে ক্ষোভ সরকারি দলের ভিতরেই, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

পোটনকান্ডে সারের সর্বনাশ হয়েছে। ঠিকাদারির নামে মহাকেলেঙ্কারি করেছেন নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন। ২৬ বছর ধরে তিনি দেশের সার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেই সুযোগে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ১ হাজার ৩৮২ কোটি টাকার সার গিলে ফেলেছেন তিনি। সার গায়েব নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সরকারি দলের ভিতরেই। পোটন ট্রেডার্সের মালিক হিসেবে কামরুল আশরাফ খান পোটন সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এমন মহাকেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের সাবিক, কাতারের মুনতাজাত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্রোবের কাছ থেকে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৪ টন সার কেনে বিসিআইসি। এসব সার বন্দর থেকে গুদামে পৌঁছানোর দায়িত্ব পায় সার পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান ড্রাই বাল্ক শিপিং প্রাইভেট লিমিটেডের স্থানীয় প্রতিনিধি পোটন ট্রেডার্স। সূত্র্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

জনতা ব্যাংকের টাকায় কৃষক লীগ নেতার পাঁচ তারকা হোটেল
৫৫০ কোটি টাকা এখন খেলাপি ঋণ

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, যেটি ‘হলিডে ইন’ নামেই বেশি পরিচিত। বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলম আহমেদ পাঁচ তারকা এ হোটেলের মালিক। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের অর্থে এটি গড়ে তুললেও তিনি পরিশোধ করেননি ঋণ। সব মিলিয়ে হোটেলটির কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়েও এ ঋণ আদায় করতে পারেনি ব্যাংকটি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খেলাপির খাতায় উঠেছে পুরো ঋণ। জানা গেছে, শুরুতে হাবিব হোটেলের ঋণ জনতা ব্যাংকের ছিল না। বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছ থেকে এ ঋণ অধিগ্রহণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি। যদিও অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছিল জনতা ব্যাংকের ক্রেডিট কমিটি। ওই ঋণের ব্যাপারে কোনো সুপারিশও ছিল না সংশ্লিষ্ট শাখার। তার পরও বাংলাদেশ ব্যাংক ও নিজেদের রীতিনীতি ভঙ্গ করে এ ঋণ অধিগ্রহণ করে জনতা ব্যাংক। ২০১৭ সালে অধিগ্রহণের সময় এ ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪৩ কোটি টাকা। অনিয়মের মাধ্যমে অধিগ্রহণের পর হাবিব হোটেলকে আরো ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি। শেষ পর্যন্ত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। সূত্র: বণিক বার্তা।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশে নামবে

বিশ্ব অর্থনীতির মতো বাংলাদেশেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বলা হয়েছিল, ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে।জুনে পূর্বাভাস দিয়েছিল, ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। তবে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি প্রবৃদ্ধি) অর্জিত হবে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস জানুয়ারি ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশার কথা জানিয়ে এই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির সদর দপ্তর থেকে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ধীরগতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা করছে বৈশ্বিক ঋণদানকারী সংস্থাটি।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাথমিক হিসাবে (নয় মাস, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত হিসাব করে) গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে দেশে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ধরেছে সরকার। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা রেলপথ চালু জুনে
জানালেন রেলমন্ত্রী

আগামী জুনেই ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, দিনরাত কাজ চলছে। ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত এই রেললাইন সংযুক্ত হচ্ছে।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, পুরো কাজ শেষ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ পদ্মা সেতুর মতো পদ্মা রেল সংযোগের সুফল ভোগ করতে পারবেন।নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এখন পর্যন্ত সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজের ৮০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৬০ শতাংশ এবং ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৫৯ শতাংশ রেলের কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এ সময় রেলওয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, ডিজি মো. কামরুল আহসান, মেজর জেনারেল এফএম জাহিদ হোসেন (সিসিজি), রেলওয়ে পিএম-২ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুর রহমান ও রেলওয়ে প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: কাল বেলা।

অর্থবছরের সাত মাসের মাথায় জানা গেল, প্রকল্প অগ্রাধিকার তালিকা কাজে লাগবে না

চলতি অর্থবছরের সাত মাসের মাথায় এসে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রাধিকার তালিকা আবারো পুনর্বিন্যাসের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, কারণ দেখা যাচ্ছে প্রকল্পের প্রথম অগ্রাধিকার তালিকা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ফলে গত বছরের জুলাই থেকে সরকারের উন্নয়ন কাজে ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত কতোটা কার্যকর হয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ১৫ হাজার কোটি টাকা কমানোর যে প্রস্তাবনা রয়েছে, সেটাও দেশের চাপের মুখে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভকে আরও শঙ্কার মধ্যে ফেলেছে। মঙ্গলবারের এডিপি পর্যালোচনা সভায় এর বিরোধিতা করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে এই সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার তহবিল থেকে আরও ব্যয়ের পক্ষে মত দিয়েছেন, কারণ এতে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ, বি এবং সি ক্যাটাগরিতে পুনর্বিন্যাসের এই প্রস্তাব এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম টিবিএসকে বলেন, এটা প্রস্তাব আকারে দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত হবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সম্মতি পাওয়া পর। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ওয়ান ইলেভেন নিয়ে বিএনপির ভেতরে কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি দুপুরে যখন বঙ্গভবনে প্রবেশ করে রাষ্ট্রপতিকে জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য অনুরোধ করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তখন ছিলেন ২২শে জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নানারকম গুজব শুনলেও পর্দার অন্তরালে সেদিন কি ঘটতে যাচ্ছে, সেই সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা ছিল না। অক্টোবর মাসে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও সেই সময় বিএনপির মনোনীত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া উপদেষ্টা পরিষদে বিএনপির বেশ প্রভাব ছিল। নানা সমালোচনা সত্ত্বেও ২২শে জানুয়ারির নির্বাচন আয়োজন বদ্ধপরিকর ছিল রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সেই উপদেষ্টা পরিষদ। সেখানে যে বিশাল এক পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে, তা নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত দলটি ছিল অনেকটাই অন্ধকারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আরও কমিয়ে ৫.২% ধরছে বিশ্ব ব্যাংক
তবে পরের বছরে গিয়ে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির গতিপথ ফিরে পাবে বলে সংস্থাটির আভাস।

মহামারীর মধ্যে যুদ্ধের খাঁড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক, যেখানে সরকার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরে রেখেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত সংস্থাটির গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টসে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশের অর্থ প্রবৃদ্ধির এই প্রক্ষেপন দিয়েছে।বিশ্ব সংস্থাটি বলছে, চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি খানাগুলোর আয়ে নেতিবাচক প্রভাব রাখবে, যার প্রভাব পড়বে সার্বিক অর্থনীতিতে।অর্থনীতির গতিপথে তরতরিয়ে চলতে থাকা বাংলাদেশ হোঁচট খায় কোভিড মহামারীতে, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে খাবি খাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে।এর মধ্যেও অর্থনীতির সচলে সচেষ্ট থাকা সরকার ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে, যাকে অনেকেই বলছেন উচ্চাভিলাষী। সূত্র: বিডি নিউজ

গাছে বেঁধে আগুন: গোপালগঞ্জের সেই নারীর

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গাছের সঙ্গে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া নারী মারা গেছেন। এই ঘটনায় তার দেবরকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। কাশিয়ানী থানার ওসি ফিরোজ আলম জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ সুফিয়া বেগম (৫০) মারা যান।এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ সুফিয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দেবর লিয়াকত মোল্লার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। লিয়াকতও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। তিনি তার সম্পত্তির অংশ বিক্রি করে গ্রাম থেকে চলে গেছেন। কিন্তু এখনও সম্পত্তি দাবি করছেন। মূলত এই নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ। সূত্র: বিডি নিউজ

আর নয় ওয়ান ইলেভেন

দেশের রাজনীতির ইতিহাসে বাঁক বদলের বহুল আলোচিত-সমালোচিত ‘ওয়ান ইলেভেন’ আজ। গভীর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। পদত্যাগ করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে। ওই পদে নিযুক্ত হন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। যার নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই সরকার শপথ নেয় ১২ জানুয়ারি। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ পূর্ণ সমর্থন জানান নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি। ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলেও এ সরকার সেনাসমর্থিত সরকার হিসেবে পরিচিতি পায় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সামনে আসে সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের নাম। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রথম সেনা হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এরপর সেনাবাহিনীতে একাধিক ক্যু হয়েছে। তবে সামরিক ক্যু’র মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন প্রথমে জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং পরে লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু সেনা সমর্থিত সরকার গঠনের ঘটনা ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনেই প্রথম। দেশের মানুষের কাছে এ ধরনের সরকারের শাসনামলে বসবাসের অভিজ্ঞতাও সেই প্রথম। অবশ্য এ ধরনের সরকার গঠনের ঘটনা আর ঘটেনি। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ