রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২০০০ ঘর পুড়ে ছাই, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১০ ও ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বেশকিছু দোকানপাটও রয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুর তিনটার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট কাজ করে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি জানান, আজ দুপুর ৩টায় ক্যাম্পের ‘বি’ ও ‘ই’ ব্লকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) সিনিয়র সহকারী সচিব সরওয়ার কামাল আমাদের সময়কে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুই হাজার বসতঘর পুড়ে গেছে। এটা আরও বাড়তে পারে। আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের জন্য কাজ করছি।’
জানা গেছে, উখিয়ার ১০, ১১ ও ১২ ক্যাম্পে আগুন লাগে। ক্যাম্পগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে রোহিঙ্গারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত বছরের ৯ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যায়। একই বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে ১৫ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে যায়।