আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩

ফরাসি প্রেসিডেন্টের সফর
উড়োজাহাজের পর কেনা হচ্ছে ফ্রান্সের স্যাটেলাইটও
যৌথ ঘোষণায় যেকোনো দেশে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন এবং সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের নিন্দা।

ফরাসি প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এবার একই প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এমন সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মাখোঁ এ মন্তব্য করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাশে রেখে এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘ইউরোপীয় অ্যারোনটিকসে (বিমানকৌশল) আস্থা রাখার জন্য এবং ১০টি এ-৩৫২ নেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলমান ভূরাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতি, স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সমর্থন প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। সূত্র: প্রথম আলো

অংশীদারি চুক্তি
অতীত ভুলে সহযোগিতার পথে

শেষ মার্কিন সেনাদলের ভিয়েতনাম ত্যাগের ৫০ বছরের কিছু বেশি সময় পরে দেশটির সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি সই করল যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফর উপলক্ষে হয়েছে এই চুক্তি। এর মধ্য দিয়ে আদর্শিক মিল থাকা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জটিল কূটনীতিতে ঢুকে পড়লেন হ্যানয়ের কমিউনিস্ট শাসকরা। জো বাইডেনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম প্রথমবারের মতো কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ তথা ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারত্ব (সিএসপি)’ চুক্তি সই করেছে।পর্যবেকক্ষকদের মতে, কর্তৃত্বপূর্ণ শাসনে থাকা ভিয়েতনামের মানবাধিকার, গণতন্ত্রসহ নানা ইস্যুতে উদ্বেগ পাশে সরিয়ে রেখে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করল ওয়াশিংটন। ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষের অনেক পরে, ১৯৯৫ সালে দেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনীতিক সম্পর্ক শুরু হয়। তার পর থেকে এটিই প্রথম কৌশলগত অংশীদারির চুক্তি। সূত্র: কালের কণ্ঠ


বন্ধুত্ব নতুন মাত্রায়
ব্যতিক্রমী সফরে ঢাকা মাতিয়ে গেলেন ম্যাক্রোঁ, বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নে সার্বভৌমত্বকে সমর্থন, দুই চুক্তি, আসবে ১০ এয়ারবাস

চলমান ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে। গতকাল দুপুরে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট দুই দিনের সফরে এলেন বাংলাদেশ। ম্যাক্রোঁর সফরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের শীর্ষনেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতির স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সমর্থন প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। বিশেষ করে চলমান ভূরাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে। অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ফরাসি উড়োজাহাজ নির্মাণ সংস্থার তৈরি নতুন ১০টি এয়ারবাস কিনতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঢাকা।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উভয়েই আশা করি বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে এই নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধনের সূচনা করেছিলেন তা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। শেখ হাসিনা বিবৃতিতে আরও বলেন, আজ ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন যা পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বিকশিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা উভয়েই আশা করি বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে এই নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

কর ফাঁকির মামলায় খালাস নোবেলজয়ী মারিয়া রেসা

Nagad

ফিলিপাইনে শান্তিতে নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসাকে কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দেশটির আদালত। একই মামলায় মঙ্গলবার তার প্রতিষ্ঠান র‌্যাপলারকেও খালাস দেওয়া হয়েছে। রেসার মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়াকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের -মামলার রায় ঘোষণার পর রেসা বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তে তিনি ‘স্বস্তি’ বোধ করছেন।’মারিয়া রেসা ২০২১ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তার সংবাদ প্রতিষ্ঠান র‍্যাপলারের মাধ্যমে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের কড়া সমালোচনা করতেন। বিশেষ করে দুতের্তে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর নামে বিচারবহির্ভূত হত্যার যে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন মারিয়া রেসা ছিলেন তার ঘোর বিরোধী। ২০১৮ সালে ফিলিপাইন সরকার অভিযোগ আনে যে, রেসা এবং তার প্রতিষ্ঠান র‍্যাপলার ২০১৫ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের রসিদ দেখাতে ব্যর্থ হন। সেই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কর জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় রেসা জামিনে ছিলেন। তবে রেসার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। ২০২০ সালে সরকারি সংস্থাগুলো তার এবং র‍্যাপলারের সাইবার মানহানির অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করে এবং সেসব মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে রেসা ওই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র: সমকাল

আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বহুমুখী ঝুঁকিতে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে এখনই বহুমুখী ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কেননা বৈদেশিক মুদ্রার আয় কমে গেছে, বেড়ে গেছে খরচ। এখন আয়ের চেয়ে খরচ হচ্ছে বেশি। ফলে দুই বছর ধরে রিজার্ভের ওপর হাত পড়েছে। রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ মেটাতে হচ্ছে। প্রকৃত হিসাবে আয় থেকে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে যোগ হচ্ছে না। ফলে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। গত দুই বছরে রিজার্ভ ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার কমে এখন নিট দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৮ কোটি ডলারে। এদিকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) জুনে নিট রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ২০ লাখ ডলার রাখার কথা বলেছিল। যা দিয়ে ২ দশমিক ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। রিজার্ভ এখন তার চেয়েও ২৯৮ কোটি ডলার কম।আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কোনো দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। তবে কোনো দেশ খাদ্য আমদানি করলে রিজার্ভ আরও বেশি রাখতে হয়। বৈশ্বিক বা দেশীয় সংকট দেখা দিলে আরও বেশি রিজার্ভ রাখতে হয়। এ হিসাবে বর্তমানে কমপক্ষে ৫ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকা দরকার বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু তা আছে তার চেয়ে অনেক কম। সূত্র জানায়, দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। আমদানির চাহিদা বেড়েছে। ফলে আমদানির পরিমাণও বেড়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ডলার সাশ্রয় করতে আমদানি কমানো হয়েছে। ফলে আমদানি খাতে ডলার খরচ কমেছে। তবে আগের বৈদেশিক ঋণ, করোনা ও বৈশ্বিক মন্দায় মেয়াদ বাড়ানো ঋণ এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া কোম্পানির মুনাফা, রয়্যালটি, বিদেশি কর্মীদের রেমিট্যান্স পাঠানো, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ খাতে ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এসব কারণে আমদানি কমলেও বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। সূত্র; যুগান্তর


ডেঙ্গুর মৌসুম দীর্ঘ এবার দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা

দেশে সাধারণত ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয় জুনে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে প্রকোপ। কিন্তু গত বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে গত জানুয়ারি থেকেই। সেপ্টেম্বরের প্রায় মাঝামাঝি এসেও সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই। বরং তা আরও বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। অর্থাৎ ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন এখনো চলছে। ফলে এ বছর ডেঙ্গুর মৌসুম আরও দীর্ঘ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের এই আশঙ্কাকে সমর্থন করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুর মৌসুম জরিপের ফলাফল। জরিপের সময় রাজধানীর দুই সিটিতেই জলমগ্ন মেঝে, প্লাস্টিকের বালতি ও ড্রামে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। পাইপ, গাছের পাতা, ভাঙা চেয়ার, প্লাস্টিকের মগ-বদনা, ফুলের টব ও টবের ট্রে, মিটারের গর্ত, গেটের চ্যানেলে জমা পানিতেও এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। ঢাকার দুই সিটির মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তুলনায় উত্তর সিটি করপোরেশনে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে বেশি। উত্তর সিটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেশি। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

ঢাকার কর্মসূচিতে ‘নিখোঁজ’ ঢাকার এমপিরাই

ঢাকায় দুটি মহানগর ও মহানগরের বাইরে সংসদীয় আসন ২০টি। তিনটি বাদে বাকি ১৭টি আসনেই সংসদ সদস্য (এমপি) আওয়ামী লীগের। এই ১৭ এমপির মধ্যে দুই-তিনজন বাদে বাকি সবাই দলীয় সভা-সমাবেশ কর্মসূচিতে অনিয়মিত। চার-পাঁচজন আছেন, যাদের মহানগর আওয়ামী লীগের দুটি অংশের কোনোটিতেই দেখা যায় না। ঢাকা মহানগর দুটি অংশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কম উপস্থিতি নিয়ে একাধিক কারণ উঠে এসেছে। ঢাকার দুই মহানগরের নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব-কোন্দল, থানা, ওয়ার্ড নেতাদের ভেতরে ব্যক্তি লীগের কোন্দল রয়েছে। একটি অংশ মনে করে, সভা-সমাবেশে সময় দিলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আরেক অংশ ব্যস্ত তদবির-বাণিজ্য নিয়ে। অনেকেই মনে করেন, মাঠে থেকে লাভ হয় না, ত্যাগের ফলাফল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সরকারের শেষ সময় সভা-সমাবেশে না গিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করলে শেষ সময় যদি কিছু করা যায়। তবে অনুপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে কেউ কেউ বলেছেন, মঞ্চে ঠাঁই পান না, বক্তব্য রাখতে পারেন না। এ কারণে কর্মসূচিতেও যান না। ঢাকা-২ আসনের এমপি কামরুল ইসলাম নিয়মিত কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও ঢাকা-১০ আসনের এমপি শফিউল ইসলাম মহীউদ্দিনকে ঢাকার কোনো কর্মসূচিতেই দেখেননি মাঠে-ঘাটে থাকা নেতাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে শফিউল ইসলাম মহীউদ্দিন বলেন, এমপি আর সংগঠন দুটি আলাদা। মাঠের বিরোধী দল বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে নিয়মিতই শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ। এর একটি কর্মসূচিতেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি ঢাকা-৯ আসনের এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীকে। এ প্রসঙ্গে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঢাকা-৫ আসনের কাজী মনিরুল ইসলাম মনু উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। তবে দলের কোনো কর্মসূচিতে তার দেখা মেলে না। ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম অসুস্থ। গত জুলাই মাসে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে একটি শান্তি সমাবেশে তার উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন মাঠের কর্মীরা। এ ছাড়া ঢাকা-১১ আসনের এ কে এম রহমতুল্লাহ, ঢাকা-১৮ আসনের হাবিব হাসান, ১৩ আসনের সাদেক খান ও ১৬ আসনের ইলিয়াছ উদ্দীন মোল্লাকে কমবেশি কর্মসূচিতে উপস্থিত দেখা গেলেও ১৪ আসনের আগা খান মিন্টু, ১৫ আসনের কামাল আহমেদ মজুমদার, ১৭ আসনের (সদ্য নির্বাচিত) মোহাম্মদ এ আরাফাত, ১৯ আসনের ডা. এনামুর রহমানকে শান্তি-সমাবেশ কর্মসূচিতে দেখতে পাননি কর্মীরা। তবে দু-একটি কর্মসূচিতে ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজির আহমেদকে দেখা গেছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বাংলাদেশে ভয়ংকর সীসা দূষণ, হৃদরোগে মারা যাচ্ছে লাখো মানুষ

সীসা দূষণের ফলে বাংলাদেশে প্রতিবছর হৃদরোগে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে। একই কারণে দেশটির শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে, যার ফলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হবার ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে’ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘গ্লোবাল হেলথ বার্ডেন অ্যান্ড কস্ট অব লেড এক্সপোজার ইন চিলড্রেন অ্যান্ড অ্যাডাল্টস: অ্যা হেলথ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড ইকোনমিক মডেলিং অ্যানালাইসিস’ নামের এই গবেষণাটি করেছেন বিশ্বব্যাংকের একদল গবেষক। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে, সীসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন চতুর্থ। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে করাতকল

সরকারের অনুমোদন ছাড়াই মাধবপুরের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে প্রায় শতাধিক স’মিল (করাতকল)। এসব করাতকলে চলছে রমরমা অবৈধ ব্যবসা। এসব মিলে সাবাড় হচ্ছে বনজ ও ফলজসহ নানা প্রজাতির গাছ। অনুসন্ধানে জানা যায়, অনুমোদনহীন এসব মিল থেকে বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত মাসোহারা আদায় করায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন-১৯২৭ ও তৎপ্রণীত স’মিল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ অনুযায়ী কোনো স’মিল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স নেয়ার পর থেকে প্রতিবছর তা নবায়ন করতে হবে। উপজেলার বিভিন্ন স’মিল (করাত কল) ঘুরে দেখা গেছে, মিল চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট বিধান থাকলেও এ উপজেলায় এ চিত্র একেবারেই বিপরীত। এসব মিল-মালিক ১৫-২০ বছর ধরে অনুমোদন ছাড়াই চালাচ্ছেন স’মিল। লাইসেন্সবিহীন স’মিলগুলো বন্ধ করার কোনো উদ্যোগও চোখে পড়েনি, কিন্তু চোখ পড়ে নতুন করে করাতকল বসানোর চিত্র। সূত্র; দৈনিক বাংলা ।

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ
সব প্রস্তুত, প্রস্তুত নয় ‘উদ্বোধন’!

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর রেলযোগাযোগ স্থাপন এবং কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে ডুয়েলগেজ রেলপথ। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ) প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজ শেষ হয়েছে আরও কয়েক মাস আগে। ইতোমধ্যে এই রেলপথে একাধিকবার পরীক্ষামূলকভাবে পরিদর্শন কার চলাচলও করেছে। তবে নতুন এই রেলপথ কবে উদ্বোধন করা হবে তা এখনো জানা নেই সংশ্লিষ্টদের। র্তমান সরকারের টানা ৩য় মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে কয়েক মাসের মধ্যে। এ অবস্থায় যেসব প্রকল্প এ বছরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব সেগুলোর প্রায় সবকটি উদ্বোধনের চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। কিছু প্রকল্প এরই মধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে আর কিছু উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন কবে হবে সে বিষয়ে কেউ সঠিক তথ্য জানাতে পারছেন না। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রেন চালানোর মতো কাজ শেষ হয়েছে। টুকিটাকি যেসব কাজ বাকি আছে, তাও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তেমন কোনো কাজ বাকি নেই। কিন্তু কবে এই পথ ধরে আন্তঃদেশীয় বাণ্যিজিক যাত্রা শুরু হবে সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। সূত্র: ঢাকা পোস্ট