৭২ বছরের দুর্নাম ঘুচবে, খুলনা মোংলা রেল চালু হচ্ছে ৯ নভেম্বর

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৩

আগামী ৯ নভেম্বর চালু হচ্ছে স্বপ্নের খুলনা-মোংলা রেল পথের। বিশ্বের একমাত্র রেল সংযোগবিহীর আন্তজার্তিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পর দুর্নাম ঘুচবে মোংলা বন্দরের।

ইতোমধ্যেই খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজের ৯৯ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি একভাগ কাজ শেষ করতে চলছে তোড়জোড়। এমাসের মধ্যে পুরো কাজ শেষে চলতি অক্টোবরেই এই রেললাইনে ট্রেনে ট্রায়াল রান শুরু হবে।

আগামী ৯ নভেম্বর খুলনা-মোংলা রেল পথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই রেলপথ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণও দেবেন তিনি।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, আগামী ৯ নভেম্বর এই রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের কাজ ৯৯ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৯১ কিলোমিটার এই রেলপথের মধ্যে ৮৮ কিলোমিটার রেলপথ বসানো কাজ শেষ।

আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এই প্রকল্পের বাকি ৩ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ হবে। শতভাগ কাজ শেষ হলে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ট্রেনের একাধিক ট্রায়াল রান দেয়া হবে।

Nagad

তিনি আরও জানান, চার হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুরর কাজ শুরু হয়।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ২৫ জুন সপ্তম ও শেষ স্প্যানটি বসে রূপসা রেলসেতুতে। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক এক তিন কিলোমিটার রেলসেতুর পুরোটাই শেষ হয়েছে। রেলসেতুটি নির্মাণে সহযোগিতা করে লার্সেন অ্যান্ড টার্বো এবং রেল লাইন নির্মাণের কাজটি করে ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।

এই রেলপথের ১১টি ষ্টেশনের প্লাটফর্মের নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই রেলপথের ১০৭টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে রেলপথের ফিনিশিং, সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশনের কাজও শেষের পথে। এই রেলপথ উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের একমাত্র রেল সংযোগবিহীর আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পর দুর্নাম ঘুচবে মোংলা বন্দরের।

খুলনা-মোংলা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চার হাজার ২৬০ কোটি টাকার মধ্যে ভারতীয় লোন হচ্ছে ২৯৪৮ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন করেছে ১৩১২ কোটি টাকা।