করিডর নিয়ে প্রচারণা হয়েছে প্রতিবেশী দেশ থেকে : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২৫

রাখাইন অঞ্চলে মানবিক করিডর নিয়ে প্রচারণা বাংলাদেশ নয়, বরং প্রতিবেশী দেশ থেকেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন,মানবিক করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি এবং হবেও না। এটি আমাদের সার্বভৌম বিষয়। যদি করিডরের মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব জাতিসংঘকে নিতে হবে।বাংলাদেশ কেবল সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘রাখাইন সংকট ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি জানান, বর্তমানে রাখাইনের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ কারণে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। ‘নীতিগতভাবে আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত,’ বলেন তিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন কার্যক্রম এগোবে না বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আরাকানের পরিস্থিতি যতদিন অস্থিতিশীল থাকবে ততদিন আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। প্রত্যাবাসনের পূর্বশর্তে আমরা এখনো আসি নাই। অনেকেই বলছেন, করিডোর নিয়ে আমরা কারও সঙ্গে আলোচনা কেন করিনি? আমি বলতে চাই অস্তিত্ববিহীন বিষয় নিয়ে আমরা কীভাবে আলোচনা করব। যার অস্তিত্ব নাই সেই বিষয়ে কী করে আলোচনা হয় বলেও প্রশ্ন রাখেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট ও সম্ভাব্য করিডর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আলোচনা হতে পারে।

Nagad

এথনিক ক্লিনজিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট অবস্থানে রয়েছে। আমরা আরাকান আর্মিকে জানিয়ে দিয়েছি— কোনো ধরনের জাতিগত নিধন বরদাশত করা হবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে ড. খলিল বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া আমার অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেই। আমি পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও সেখানকার পাসপোর্ট আমার নেই। এ সময় তিনি আরও বলেন, বিদেশে থাকলেই যদি নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়, তাহলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা উচিত। তিনি এ ধরনের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেও উল্লেখ করেন।