বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিআরইউয়ের শ্রদ্ধা
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকায় তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত কুমার সাহা ও এসকে রেজা পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে ডিআরইউ’তে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের রাস্তায় জমায়েত হতে থাকে।
সকাল সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে দলের সভাপতি হিসেবেও শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ত্যাগ করার পর সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থানটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে শহীদ হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই রাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল। ঘাতকদের বুলেটে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ খান রিন্টুসহ আরও অনেকে। দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।