কবীর সুমন গান গাইবেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে, অনুমতি দিলো ডিএমপি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের পরিবর্তে গান গাইবেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) আয়োজক প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানের অনুমতির বিষয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার (ক্রাইম)।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘পিপহোল’-এর কর্মকর্তা মীর আরিফ বিল্লাহ বলেন, আমদের মিটিং হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গাইবেন কবীর সুমন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে অনুমতিও মিলেছে।

বাংলা গান প্রেমীদের কাছে অসম্ভব প্রিয় শিল্পী কবীর সুমন। প্রায় ১৩ বছর পর ঢাকায় এসেছেন। মাতাতে চেয়েছিলেন দর্শকদের মন। তিন দিনে তিনটি কনসার্টের পরিকল্পনাও হয়েছিল।

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে (১৫ অক্টোবর) আধুনিক বাংলা গান, (১৮ অক্টোবর) বাংলা খেয়াল ও (২১ অক্টোবর) আধুনিক বাংলা গান পরিবেশনের কথা ছিল। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন অনুযায়ী টিকিটও বিক্রি করা হয়।

এ উপলক্ষে বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানিয়েছিল, আয়োজন ঘিরে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতি শোতে পাঁচ শতাধিক দর্শক ভেন্যু থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন।

Nagad

আয়োজন অনুযায়ী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে অনুষ্ঠানের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তবে ডিএমপি বলছে, জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে কবির সুমনের গানের অনুষ্ঠানের অনুমতি মিলছে না। মূলত নিরাপত্তাজনিত কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে নতুন খবর হচ্ছে, শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠান করার অনুমতি না পেলেও রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কবির সুমন গান গাইতে পারবেন বলে জানিয়েছেন, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘পিপহোল’-এর কর্মকর্তা মীর আরিফ বিল্লাহ।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) তিনি গণমাধ্যমে জানান, আমদের মিটিং চলছে। আপাতত তেমন কিছুই বলতে না পারলেও শুধু বলছি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গাইবেন কবির সুমন। অনুমতিও প্রায় হয়ে গেছে। এর বিস্তারিত আমরা পরে জানিয়ে দিচ্ছি আপনাদের।

এর আগে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জাতীয় জাদুঘর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। কেপিআইয়ের ভেতর এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই। শিল্পীদের অনেক ক্রেজ থাকে। উনারা যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি করেছে, তার চেয়ে যদি বেশি লোক চলে আসে এবং বাইচান্স ভাঙচুর শুরু করে, তখন তো সমস্ত দোষ পুলিশের ওপর এসে পড়বে। তখন প্রশ্ন আসবে- কেন কেপিআইয়ের ভেতর অনুমতি দিলো। আমরা এটাও বলেছি যে ভেন্যু যদি পরিবর্তন করে অন্য কোনো স্থানে এই আয়োজন করা হয়, তাহলে কবীর সুমন গান করতে পারবেন। তখন নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে কবীর সুমনের গানের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর আধুনিক বাংলা খেয়াল এবং ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে ১৩ বছর পর গান গাইতে বৃহস্পতিবার সকালেই ঢাকায় পৌঁছান সুমন।