বিএনপির নামে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: রুহুল কবির রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন উল্লেখ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার আদর্শ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সব সময় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দলটি কোনো সমাজবিরোধী, দখলবাজ কিংবা চাঁদাবাজকে বরদাশত করে না। কেউ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অরাজকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে দল তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। দলটি মনে করে, রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্বে থাকা মানুষের যোগ্যতা, দক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবিক গুণাবলি থাকা জরুরি। বিএনপি যতবারই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, এসব মূল্যবোধকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বর্তমানে সমাজে নানা ধরনের অপরাধ, বিশেষ করে ‘মব কালচার’-এর প্রবণতা বাড়ছে। প্রশাসনিক স্থবিরতা এবং কালো টাকার প্রভাবে এটি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একইসঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত ও নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছে জনগণ।’

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘দলের ভেতরে কেউ অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে গণমাধ্যমে এসব তথ্য সেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না।’

Nagad

তিনি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে বারবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হলেও তারা নিরব থেকেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পুলিশ প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। বরং কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।’

রিজভী বলেন, ‘এই ধরনের অব্যবস্থাপনা চলতে থাকলে সমাজের সভ্যতা ও সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়বে। জনগণের জীবন এখন গভীর সংকটের মধ্যে। আর এই পরিস্থিতিতে দক্ষ প্রশাসন অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী শাসনামলের কালো টাকা ও ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ তৎপরতার কারণে সমাজে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা তৈরির আলামত দেখা যাচ্ছে।’