আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ক্যাশলেস সোসাইটি: সজীব ওয়াজেদ জয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২২

রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে ডিজিটাল লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠান। সংগৃহীত ছবি

আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ক্যাশলেস সোসাইটি। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি-বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, আমরা যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রকাশ করি, তখন ডিজিটাল বলতে কিছুই ছিল না। বিশ্বের কোথাও ডিজিটাল দেশ গড়ার কোনো ফ্রেমওয়ার্ক ছিল না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের ডিজিটাল দেশ গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিত। তাদের স্বপ্ন ছিল আমাদের দেশে তাদের নিজস্ব কনসালটেন্ট আসবে, একটা প্রজেক্ট করতে ৫ থেকে ৬ বছর সময় লাগাবে এবং নিজেদের মতো কাজ করব। আমি বলেছি দরকার নাই, আমরা নিজেরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ করব। আমরা কিন্তু সেটাই করেছি। তবে ধাপে ধাপে করতে সময় লেগেছে।

এ সময় তিনি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শতভাগ সরকারি সেবা ডিজিটালি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে ডিজিটাল লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আইএমইফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের ডিজিটাল দেশ গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিত। তাদের স্বপ্ন ছিল আমাদের দেশে তাদের নিজস্ব কনসালটেন্ট আসবে, একটা প্রজেক্ট করতে ৫ থেকে ৬ বছর সময় লাগাবে এবং নিজেদের মতো কাজ করবো। আমি বলেছি, দরকার নাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা নিজেরাই করবো।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন সব আমরা নিজেরাই করেছি। তবে ধাপে ধাপে করতে হয়েছে, সময় লেগেছে। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ঢাকা-চট্টগ্রামে ইন্টারনেট ছিল, খরচ ছিল ৭৮ হাজার টাকা। তখন আমরা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু সবাই অবাক হলো কীভাবে সম্ভব! কিন্তু আমরা করেছি। আমরা ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করেছি।

Nagad

জয় বলেন, গ্রামের মানুষের হাতে স্মার্টফোন নেই, মানুষ কীভাবে সেবা নেবে? তখন সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার করেছি মাত্র এক বছরে। সব অ্যাপ আমরা নিজেরা করেছি। বিদেশি কোনো সংস্থার হাত ছিল না।

আগামী কয়েকবছরের মধ্যে শতভাগ সরকারি সেবা ডিজিটালি দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আইটি কোম্পানিগুলো সব ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। এখন আমাদের চিন্তা ইন্ডাস্ট্রিগুলো নিয়ে।

‘বিনিময়’ হচ্ছে ওয়েবভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যা একটি সেবা হিসেবে ব্যাংক, এমএফএস ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে যুক্ত হচ্ছে। এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। ভেলওয়্যার লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও ওরিয়ন ইনফরমেটিকস লিমিটেড প্ল্যাটফর্মটি তৈরিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়া ‘বিনিময়’ প্লাটফর্মটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে ভেলওয়্যার লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে ‘বিনিময়’-এর মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে।

সারাদিন.১৩ নভেম্ব. এআর