আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২

একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: কাদের
বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসন নিতে চায় জাপা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাপার দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাৎ। এরপর শূন্য আসনে উপনির্বাচনের ব্যাপারে দলটি উৎসাহিত।

বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের পর জাতীয় সংসদের শূন্য আসনগুলোতে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটির শীর্ষ দুই নেতা গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর পর থেকে জাপায় উপনির্বাচনের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের আদালতের সিদ্ধান্তে প্রায় দেড় মাস ধরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে জাপার শীর্ষ নেতৃত্বের সম্পর্কের টানাপোড়েনের নানা আলোচনা আছে দলটিতে। তবে গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর গণভবনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এরপর টানাপোড়েনের সম্পর্কে নাটকীয় মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন জাপার নেতারা। এই বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি যতটুকু জেনেছি, ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। সেখানে চেয়ারম্যানকেও (জি এম কাদের) ডেকেছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আমরা কিছু জানি না।’
তবে জাপার দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, এই বৈঠকের বিএনপির সংসদ সদস্যদের শূন্য আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জাপা উৎসাহিতবোধ করছে। জাপার নেতারা মনে করছেন, সংসদে আওয়ামী লীগের আসনসংখ্যা যথেষ্ট, তাই শূন্য হওয়া আসনগুলোতে জাপা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাড় পাবে। সূত্র: প্র্রথম আলো

৮ ভোগ্য পণ্য আমদানির জন্য বিশেষ উদ্যোগ

রমজান ঘিরে ভোগ্য পণ্য আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে এসব পণ্যের ঋণপত্র খুলতে মার্জিন ন্যূনতম রাখা, রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ, বাকিতে এসব পণ্য কেনার সুযোগ এবং ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল খোলার উদ্যোগ অন্যতম। এসব উদ্যোগের ফলে পণ্য আমদানিকারকদের মধ্যে স্বস্তির আভাস মিলছে। কিন্তু রমজানের আগে এসব পণ্য দেশে এসে বাজার ধরতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিদেশি সরবরাহকারীর সঙ্গে সমঝোতা করা, আমদানির অনুমতি নেওয়া, ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা, পণ্য জাহাজীকরণ এবং সেই পণ্য দেশে পৌঁছে পাইকারি বাজারে সরবরাহ দেওয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন কিছু ব্যবসায়ী। কারণ ১৫ ডিসেম্বর থেকেই যদি ঋণপত্র খোলা হয় তাহলে রমজানের আগে তিন মাস সময় পাওয়া যাবে। কিন্তু পাইকারি বাজারে রমজানের ভোগ্য পণ্য বিক্রি শুরু হয় শবেবরাতের আগে অর্থাৎ ১৫ দিন আগে। সে হিসাবে আমদানিকারকদের হাতে সময় থাকে আড়াই মাস। এরপর তদারকি থাকলে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব বলে মত ভোগ্য পণ্য ব্যবসায়ীদের। সূত্র: কালের কণ্ঠ

অবৈধ ক্লিনিকে চিকিৎসা বাণিজ্য
রাজধানীর রূপনগরে লাইসেন্স ছাড়াই চিকিৎসা-অপারেশন চালিয়ে আসছে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতাল। হাতের আঙুলে অস্ত্রোপচারের সময় মারা যায় কুড়িগ্রামের ছয় বছর বয়সী শিশু মারুফা জাহান মাইশা। এরপর বেরিয়ে আসে হাসপাতালটিতে অনুমোদন ছাড়াই চলছিল সব চিকিৎসা কার্যক্রম। আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এ রকম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংক। গত সেপ্টেম্বরে আলটিমেটাম দিয়ে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। দফায় দফায় অভিযানে এ বছর সর্বোচ্চ হাসপাতাল-ক্লিনিক নিবন্ধনের আবেদন করেছে। কিন্তু এরপর থমকে আছে অভিযান। এ সুযোগে অনেকেই আবার ব্যাঙের ছাতার মতো ক্লিনিক খুলে বসছে। আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালের ঘটনায় নিবন্ধনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবা দেওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকদের সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের নোটিসে বলা হয়েছে, নিবন্ধনহীন এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা দিলে দায়ভার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে বহন করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বিষয়টি জানতে পারলে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে ১৩ হাজার ৯৪৬টি। কিন্তু কয়েক দফা আলটিমেটামের পরও এখনো নিবন্ধনের আবেদন করেনি প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ব্লাডব্যাংক। গত সেপ্টেম্বরে অভিযানের পর নতুন করে নিবন্ধনের আবেদন করেছে আরও ২ হাজার ২০৩টি ক্লিনিক। স্বাস্থ্য অধিদফতর নড়েচড়ে বসলেই আবেদনের হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু অভিযান থেমে গেলেই ক্লিনিকের নামে দোকান খুলে বসে এসব অপরাধী চক্র। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

স্বীকৃতির বাইরে হাজারো শহীদ বুদ্ধিজীবী

Nagad

স্বাধীনতার ৫১ বছরেও শেষ হয়নি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কাজ। দুই দফায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৩৪ শহীদ বুদ্ধিজীবীকে গেজেটের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। অথচ স্বীকৃতির বাইরে রয়ে গেছেন হাজারো শহীদ বুদ্ধিজীবী। যাঁদের নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, সেই পরিবারগুলোর জন্যও কোনো রাষ্ট্রীয় সহায়তা ঘোষণা করা হয়নি। নির্ধারিত হয়নি তাঁদের মর্যাদাক্রমও।মন্ত্রণালয় বলছে, চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারগুলোর সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় এবং সাব-কমিটির কাছে প্রায় দেড় হাজার শহীদ বুদ্ধিজীবীর তথ্য-উপাত্ত রয়েছে, যা যাচাই-বাছাই করা হবে। এরই মধ্যে আজ বুধবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটির প্রথম সভাটি হয় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর। ওই সভায় প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ২২২ জনের নাম অনুমোদন করা হয়। পরে অনুমোদন হওয়া ১৯১ জনের নাম প্রথম দফায় গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার। এর পর গত ২২ মে দ্বিতীয় দফায় ১৪৩ শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়। সূত্র: সমকাল

কার্যকর অগ্রগতি নেই
রাজাকারের তালিকা তৈরিতে সমন্বয়হীনতা
এখন পর্যন্ত নীতিমালাই চূড়ান্ত হয়নি-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী * নীতিমালার প্রয়োজন নেই-উপকমিটির প্রধান

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামসের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে তেমন কোনো কার্যকর অগ্রগতি নেই। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চরম সমন্বয়হীনতার কারণেই মূলত এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তালিকা তৈরির জন্য গঠিত উপকমিটির সদস্যরা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। কেউ বলছেন, এখন পর্যন্ত উল্লেখ করার মতো কোনো কাজই হয়নি।আবার কেউ বলছেন, তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ফলে বিষয়টি নিয়ে একধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করছেন না। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খানের নেতৃত্বে গঠিত উপকমিটি কাজ করছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সূত্র: যুগান্তর

প্রকল্পের ঘর বিক্রি লাখ টাকায়

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া ৭টি ঘর বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘর কিনে নেয়া ব্যক্তিরা বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন। ঘরগুলো উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামে।প্রকল্পের আওতায় জনপ্রতি ২ শতক জমি ও প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকারের খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এ ঘর বিক্রি করেছেন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়।স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘর বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকায় ভুল মোবাইল নম্বর দেয়া হয়। যাতে বরাদ্দপ্রাপ্তদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে না পারেন। এ ছাড়া ঘর বরাদ্দের তালিকা প্রণয়নেও প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা অনিয়ম করেছেন। এ কারণে বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা ঘর বিক্রির সাহস পেয়েছেন।গত রোববার দক্ষিণপাড়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় ঘর বিক্রেতা, ক্রেতা ও স্থানীয়দের সঙ্গে। প্রকল্পের ১৪ নম্বর ঘর বরাদ্দ পেয়েছিলেন আব্দুস সালাম ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম। স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ওই ঘর এক লাখ টাকায় কিনে বসবাস করছেন শিরিনা বেগম ও তার পরিবার।১০ নম্বর ঘর বরাদ্দ হয় বেল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ছারা খাতুনের নামে। ৮০ হাজার টাকায় তা কিনে বসবাস করছেন মো. আনু ও তার স্ত্রী সাবিনা বেগম। ৮ নম্বর ঘর বরাদ্দ পান গ্রামের রশিদ দম্পতি। এ ঘরে বসবাস করছেন জাহের ও তার পরিবার। ৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ পান ঠাণ্ডু দম্পতি। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনে বসবাস করছেন পিঞ্জিরা খাতুন ও তার সন্তানরা। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক অসাধুতা রোধে বিশেষায়িত ইউনিট স্থাপনের প্রস্তাব এনবিআরের

২০৩২ সালকে লক্ষ্যে রেখে– কর ভিত্তি এবং কর প্রশাসনে আরও দক্ষতা আনতে রাজস্ব কৌশলের একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, রাজস্ব আহরণ যখন চাপের মধ্যে তখনই এ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খসড়া পরিকল্পনায় রয়েছে, ব্যবসাবাণিজ্যের তহবিলে অসাধুতা এবং মিস-ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে বছরে শত শত কোটি টাকা পাচার রোধে একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের প্রস্তাব। ‘স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি রাজস্ব কৌশল’ (এমএলটিআরএস) শীর্ষক এই কর্মপরিকল্পনার আরও লক্ষ্য– রাজস্ব ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনমনে কর ব্যবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক ধ্যানধারণার পরিবর্তন। খসড়া কর্ম তালিকাকে তিনটি শ্রেণিতে– স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। এতে কর কর্মকর্তা ও করদাতার মধ্যে আস্থার ঘাটতি পূরণ, আহরণ ব্যয় কমাতে করদাতার স্বপ্রণোদিতভাবে নিয়মনীতি মেনে চলা এবং স্বল্প মেয়াদে বা ২০২৪ সালের বাজেট পূর্ব সময়ে নীতিনির্ধারক ও করদাতাদের মধ্যে প্রাক-বাজেট আলোচনার মতো কর্মতালিকা রয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। সূত্র;বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বিদ্যুতে বৃহৎ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর উদ্যোগগুলো কি ঝুঁকিপূর্ণ

দেশে বিদ্যুৎ খাতের মেগা প্রজেক্টগুলোর অন্যতম পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। আবার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিদেশী ঋণ পরিশোধের মেয়াদ শুরু হয়েছে। কিন্তু সেখানেও বাদ সাধছে ডলার সংকট। চলতি মাসের শুরুর দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রদেয় একটি ঋণের কিস্তি সময়মতো শোধ করা যায়নি। ডিসেম্বরের মধ্যেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে ডলারে এ কিস্তিসহ জরুরি ভিত্তিতে বড় অংকের অর্থ জোগাড় করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে এখন কমবেশি একই ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতে এ সমস্যা অনুভূত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ খাতে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। এসব বিনিয়োগের অর্থায়ন হয়েছে বিদেশী বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেয়া ঋণের ভিত্তিতে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিদ্যুৎ খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৫০ কোটি ডলার বা তার বেশি পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠানের—এস আলম গ্রুপ, সামিট গ্রুপ ও ওরিয়ন গ্রুপের। এর মধ্যে এস আলম গ্রুপের বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ২৪৬ কোটি ডলার। সামিট গ্রুপের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি ডলার। ওরিয়ন গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের পরিমাণ ৭০ কোটি ডলার। সূত্র: বণিক বার্তা।

রাজনীতিতে বড় দলগুলো ছোট দলকে জোটে টানে কেন?

বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিভিন্ন সময়ে অন্য ছোট দলগুলোর সাথে জোট বেঁধেছে। এরমধ্যে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ১৮টি ছোট-বড় দল মিলে মহাজোটের ঘোষণা দিয়েছিল। এই জোট নিয়ে তারা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেয় এবং তখন ২৬৩টি আসনে জয় লাভ করে ক্ষমতায় যায় তারা। বর্তমানে এই জোটটি আর নেই। তবে, আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট এখনো রয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও এই জোটে আরো যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিকদল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি(জেপি)। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

আলোচনায় বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক
যুগপৎ আন্দোলন ।। নিষ্ক্রিয় থাকবে ২০ দলীয় জোট দুই দলে সমঝোতা কর্মসূচির ধারায় একবিন্দুতে

গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দলীয় এক ফোরামে বলেছিলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে জামায়াত নেই। তবে গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগের গণসমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবিসহ বিএনপির ১০ দফা ঘোষণাকে তাৎক্ষণিক সমর্থন দিয়ে নিজেরাও ১০ দফা এবং যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করে জামায়াত। এ ঘোষণার তিন দিন পর সোমবার গভীর রাতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে নতুন করে জামায়াত ও বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জামায়াত ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর ১০ দফা তুলে ধরে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। দলটির এ আন্দোলনকে সমর্থন জানায় ২০-দলীয় জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চ, ডান-বামসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল। এ তালিকায় জামায়াতও আছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে তাদের নিজস্ব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এটি জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে কেন বিএনপিকে টেনে আনা হচ্ছে, সেটিই তো বুঝতে পারছি না। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়