সন্তানদের জমি লিখে দিয়েও ঠাঁই হয়নি পাকা ঘরে, বাবা-মা গোয়ালঘরে

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৫

ছেলেরা পাকাঘরে থাকলেও ময়দান আলী ও জাহেদা বেগমের ঠাঁই হয়েছে গোয়ালঘরে। সংগৃহীত ছবি

একসময় ছিলেন জমিদারপনার মতো জীবন যাপন করা এক কৃষক। ছয় সন্তানের বাবা ময়দান আলী এখন আশ্রিত গোয়ালঘরে। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের এই বৃদ্ধ বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন, বাসা বেঁধেছে নানা অসুখ। অথচ তার দুই ছেলেরই পাকা বাড়ি আছে—বড় ছেলে সরকারি চাকরিজীবী, ছোট ছেলে মাছচাষি।

কিন্তু বাবা-মাকে রাখা হয়েছে গরু-ছাগলের গোয়ালঘরে। অপরিচ্ছন্ন, দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে এখন দিন কাটে ময়দান আলী (৮০) ও তার স্ত্রী জাহেদা বেগমের।

সম্পত্তি লিখে দেওয়ার পর থেকেই অযত্ন আর অবহেলার শিকার তারা। এমনকি মেয়েরা দেখতে এলেও ভাইদের গালমন্দ সহ্য করতে হয় বলে অভিযোগ।

ময়দানের স্ত্রী জাহেদা বলেন, ‘ছেলেরা জমিজমা লিখে নিয়েছে, তাই সেবা পায় না। ছোট ছেলে রবি পাঁচ শতাংশ বেশি নিয়েছে, সেই জমি ফেরত চাই।’

এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ছোট ছেলে রবিউল করিম রবি ক্ষিপ্ত হয়ে দা হাতে তেড়ে আসেন বলে জানা গেছে।

বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চাকরির কারণে দূরে থাকি, তবে সাধ্যমতো খেয়াল রাখি। মা-বাবা ছোট ভাইয়ের জায়গাতেই থাকেন।’

Nagad

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলার ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ বলেন, ‘অভিভাবক রক্ষণাবেক্ষণ আইনে সন্তানদের বাধ্যতামূলকভাবে বাবা-মায়ের দেখভাল করতে হবে। আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ সূত্র: জাগো নিউজ