ফরিদপুরে ধর্ষণের পর হত্যা: সাবেক স্বামীসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুর সংবাদদাতাফরিদপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৩

ফরিদপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বামী ও এক সহযোগীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (০১ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

গৃহবধূ রাশিদা আক্তার রুশিকে (৩০) ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ডেউখালি ইউনিয়নের আব্দুল বারেক মোল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্যা (৪৯) এবং একই ইউনিয়নের রহিম মাতুব্বরের ছেলে চুন্ন মাতুব্বর (৫০)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানারও আদেশ দেন বিচারক।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ১৫ মে রাশিদা বেগম রুশির সাথে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের বারেক মোল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্যার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রুহান নামে এক ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন। এরই মাঝে তিনি আরেকটি বিয়ে করে সংসার করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি রাশিদাকে তালাক দেন। পরে রাশিদা ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।

২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে রাশিদাকে পরিচিত এক ব্যক্তির মোবাইলফোন থেকে কল করে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলা করেন।

Nagad

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল গণমাধ্যমকে বলেন, রাশিদাকে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে স্বামী জাহাঙ্গীর মোল্যাকে (৪৯) এবং ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জাবানবন্দি দেওয়ায় চুন্নু মাতুব্বরকে (৫০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রাশিদার স্বামী সৌদি আরবে পলাতক রয়েছেন এবং চুন্নু মাতুব্বরও পলাতক রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার বাকি পাঁচ আসামির হত্যায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

সারাদিন/০১ মার্চ/এমবি