আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৩

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ আমলে নিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী
সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদ নির্বাচন, বিরোধী দলের অংশগ্রহণসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ আমলে নিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এমন কোনো চাপ নেই, যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে। তিনি মন্তব্য করেন, বিদেশিদের যে চাপই আসুক না কেন, জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার, সরকার সেটাই করবে।গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিরোধী দলের অংশগ্রহণ, বিদেশি কূটনৈতিক তৎপরতা এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিল, ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকেরা সম্প্রতি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি—দুই দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নির্বাচন সামনে রেখে আন্তর্জাতিক চাপ অনুভব করছেন কি না? এই প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমন কোনো চাপ নাই, যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমার একমাত্র শক্তি জনগণ। আর ওপরে আল্লাহ আছে। বাবার আশীর্বাদের হাত আমার মাথায় আছে। কাজেই কে কী চাপ দিল না দিল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। জনগণের স্বার্থে যেটা করার সেটাই করব। জনগণের কল্যাণে যে কাজ করার সেটাই করব।’ সূত্র: প্রথম আলো

এবারও ১০ টাকায় দুধ খাওয়াবেন এরশাদ

তিন বছর ধরে প্রতি রমজানে সেবামূলক কাজটি করছেন তিনি। একেবারে নামমাত্র দামে আশপাশের এলাকার মানুষের কাছে দুধ বিক্রি করছেন। এবার আরো বড় পরিসরে কাজটি করবেন মো. এরশাদ উদ্দিন। রোজার প্রথম দিন থেকে সারা মাস ১০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সে অনুযায়ী চলছে প্রস্তুতি। গত ১২ মার্চ এ বিষয়ে তিনি ফেসবুকে পোস্টে নামমাত্র দামে দুধ বিক্রির ঘোষণা দেন। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের এই ব্যবসায়ীর উদ্যোগটি ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে এলাকায়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

মহাসড়কে গলার কাঁটা ম্যানুয়াল টোল
টোল প্লাজা ঘিরে যানজট। টোলবুথ আংশিক ডিজিটাল হলেও ম্যানুয়াল যানবাহন। ১০ বছরেও আরএফআইডি ট্যাগ লাগেনি অধিকাংশ গাড়িতে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। রাজস্ব ফাঁকির আশঙ্কা

যোগাযোগব্যবস্থায় গতি আনতে সরকার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, মহাসড়কগুলোর লেন বৃদ্ধিসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চললেও কমছে না ভোগান্তি। গুরুত্বপূর্ণ অনেক মহাসড়কের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যানুয়াল (হস্তচালিত) টোল প্লাজা। ধীরগতিতে টোল আদায়ের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা বাইপাসের মতো ব্যস্ত মহাসড়কে সব সময় যানজট লেগেই থাকছে। ৬-৭ মিনিটে ১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আসা যানবাহনকে শুধু টোল প্লাজা পার হতেই কখনো লেগে যাচ্ছে দুই-তিন ঘণ্টা। এতে মহাসড়কে চলাচলকারীদের ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ছে পণ্য পরিবহনের সময় ও খরচ। একই সঙ্গে হাতে টোল আদায়ের কারণে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব খোয়া যাচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরোপুরি অটোমেশন হলে একটি যানবাহন থেকে মাত্র ২-৩ সেকেন্ডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় হবে। টোল প্লাজায় গাড়ি দাঁড়ানোরই দরকার পড়বে না। প্রতি গাড়ির সামনে থাকবে আরএফআইডি (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) ট্যাগ, যাতে গাড়ির নম্বরসহ সব তথ্য থাকবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

কমিটির সদস্য সচিব রাজউকের অঞ্চল ৫/৩-এর কর্মকর্তা রঙ্গন মণ্ডল জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এর বাইরে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। কমিটির আরেক সদস্য বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, কমিটির সদস্যরা পুঙ্খানপুঙ্খভাবে ভবনটির ক্ষতির অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। কমিটির সদস্য সচিব রাজউকের অঞ্চল ৫/৩-এর কর্মকর্তা রঙ্গন মণ্ডল জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এর বাইরে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। কমিটির আরেক সদস্য বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, কমিটির সদস্যরা পুঙ্খানপুঙ্খভাবে ভবনটির ক্ষতির অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। এমনকি রিপোর্ট প্রণয়নের আগেরদিন রোববার সন্ধ্যায়ও তাঁরা ভবনটি শেষবারের মতো পরিদর্শন করেন। দেখা যায়, ভবনের ২৪টি কলামের মধ্যে ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে চার-পাঁচটি কলাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এগুলো মেরামত করে ভবনটি ব্যবহার করা যাবে। এর চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অনেক ভবন বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা ভালোভাবে মেরামত করেছেন, যেগুলো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। গার্মেন্ট খাতেও এ রকম শতাধিক ভবন মেরামত করে ব্যবহার চলছে। সূত্র: সমকাল

উচ্চ বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে শেষ হলো বিজনেস সামিট
তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিট- এর শেষদিনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ (এফডিআই) নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশের ব্যবসায়ীদের একটি শীর্ষ সংগঠন- ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফসিসিআই) এর সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, এই তিনদিনে বাংলাদেশ নিজের সক্ষমতা ও সুবিধাগুলো বিশ্বের সামনে সফলভাবে তুলে ধরতে পেরেছে। ফলে দেশের অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, আইসিটি ও পোশাক খাতে আরো বিদেশি বিনিয়োগ আসার আশা করা হচ্ছে।
সমাপনী দিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জসীম উদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশিদের থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় আমরা এখনও আরো আত্মবিশ্বাসী’। সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত যে, বিপুল তরুণ শ্রমশক্তি থাকায় এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বারের মতো ভূকৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আরো বেশি এফডিআই আকর্ষণ করবে। প্রায় ১৭ কোটি গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান স্থানীয় বাজারও এতে ভূমিকা রাখবে।দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ ব্যবসায়ী সংগঠনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনের এ বিজনেস সামিট আয়োজন করা হয়। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

রোডে খানাখন্দ ম্যাপে হোঁচট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। গত ৬ মাসেও রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে পারেনি কমিশন। দেশের বিরোধপূর্ণ রাজনীতি এর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ কমিশনের। ‘অমসৃণ ও খানাখন্দে ভরা’ ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়ন নির্বাচন কমিশনকে হোঁচটও খাইয়েছে। ইসি বলছে, ‘অমসৃণ রাস্তায় স্টিয়ারিংয়ে থাকা চালক পূর্ণ গতিতে গাড়ি চালাতে না পারায় পরিকল্পনার অনেক কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। অথচ নকশা অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।’অংশীজনরা (স্টেকহোল্ডারস) বলছেন, সবার কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে আস্থা অর্জনের বিকল্প নেই। এটা এখনো তৈরি করতে পারেনি কমিশন। আর বিএনপি বলছে, জনগণের বিশ্বাস অর্জিত না হলে এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না তারা। সূত্র: দেশ রুপান্তর

আইএমএফ’র ঋণেও মিলছে না স্বস্তি
অর্থনীতিতে বড় ঝুঁকির শঙ্কা
ঋণের শর্ত বাস্তবায়নে ভোক্তার ওপর চাপ আরও বাড়বে * আইএমএফ’র মতো বিশ্বব্যাংকও ঋণ দিতে শর্ত চাপাচ্ছে

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নতুন করে বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে দেশের সার্বিক অর্থনীতি। তাদের শর্ত মানতে ইতোমধ্যে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ানো হয়েছে। এতে বেড়েছে সব ধরনের সেবা ও পণ্যের দাম। উৎপাদন ব্যয় বেশি মাত্রায় বাড়ায় শিল্প খাত পড়েছে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে।নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতির হার আবার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ডলার সংকট আরও প্রকট হয়েছে। আমদানি কমিয়েও সংকট মোকাবিলা করা যাচ্ছে না, উলটো আরও বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এখন নতুন করে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ নিয়ে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণের চাপ সবচেয়ে বেশি।সূত্র জানায়, বৈশ্বিক ও দেশীয় পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে আগে থেকেই বাংলাদেশ সংকটের মুখে পড়ে। এ সংকট এখন আরও প্রকট হয়েছে। এতে ডলারের দাম বেড়ে গিয়ে টাকার মান কমে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি দেশের বাজারে সব ধরনের পণ্য ও সেবার দাম বাড়ে। এতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট (আগের বছরের কোনো মাসের সঙ্গে চলতি বছরের একই মাসের তুলনা) ভিত্তিতে আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল। এক বছরের হিসাবে এ হার ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এরপর থেকে পয়েন্টু টু পয়েন্ট হিসাবে মূল্যস্ফীতির হার টানা ৫ মাস কমেছে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে আবার বেড়েছে। আগামীতে এ হার আরও বাড়তে পারে। এদিকে এক বছরের গড় হিসাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাচ্ছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট হিসাবে জানুয়ারিতে এ হার কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমেছিল। যদিও ওই সময়ে প্রায় সব ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে উঠেছে। জানুয়ারিতে এক বছরের হিসাবে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে তা আরও বেড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ হার ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সূত্র: যুগান্তর

বাড়তি মজুরি খেয়ে ফেলছে মূল্যস্ফীতি

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর ওই মাসে মজুরি বেড়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এই সহজ-সরল হিসাবই বলছে, বাড়তি মজুরি খেয়ে ফেলছে মূল্যস্ফীতি। অর্থাৎ বাজারে জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, দেশের বিভিন্ন খাতের দিনমজুর ও শ্রমিকদের মজুরি সে হারে বাড়ছে না। বাড়তি মজুরি দিয়ে সংসার চলছে না তাদের।পুরো বিষয়টি একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে। যেমন: একজন মানুষ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১০০ টাকায় যে পণ্য বা সেবা কিনেছিলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই টাকা দিয়ে সেই জিনিসপত্র বা সেবা পাননি। পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাওয়ায় তাকে ১০৮ টাকা ৭৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। ৮ টাকা ৭৮ পয়সা হলো মূল্যস্ফীতি। গত ফেব্রুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতির হার ছিল এটাই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মজুরিও বাড়ে। মজুরি বেশি বৃদ্ধি পেলে মূল্যস্ফীতির আঁচ টের পান না তারা। কিন্তু সমান হলে দুশ্চিন্তা বাড়ে; আর কম হলে কেনা কমিয়ে দেন। ফেব্রুয়ারি মাসে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ১১। এর মানে, মজুরি বৃদ্ধির বাড়তি টাকা পুরোটা খরচ করেও তিনি সংসারের খরচ মেটাতে পারেননি; সঞ্চয় করা বা জীবনযাত্রার বাড়তি চাহিদা মেটানোর তো প্রশ্নই আসে না।দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পুরো অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা করার এই প্রক্রিয়ায় মজুরিও বাড়তে থাকে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতির পারদও চড়তে থাকে। গত বছরের আগস্টে এক লাফে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়, যা ছিল এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সূত্র; দৈনিক বাংলা।

বাংলাদেশমুখী হবেন বিদেশি উদ্যোক্তারা, আশা এফবিসিসিআই’র

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্যবসায়ীদের দিক থেকে বাংলাদেশের সম্ভাবনার বিষয়ে সঠিক বার্তা দেওয়া গেছে বলে মনে করছে এফবিসিসিআই।এদিক থেকে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ অনেকটা সফল জানিয়ে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আসার বিষয়ে আশাবাদের কথা শোনালেন সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন। সোমবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের এ সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিনিয়োগমুখী হবেন বিদেশি উদ্যোক্তারা- এ সম্মেলনের মাধ্যমে তা জানাতে সফল হয়েছেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি তিনটি কারণে বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেবে বলে তুলে ধরেন।তিনি বলেন, এদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ থেকে সহজেই লাভবান হতে পারবেন বিদেশি উদ্যোক্তারা। সঙ্গে রয়েছে ১৭ কোটি মানুষের বিশাল ভোক্তা শ্রেণি, যাদের লক্ষ্য করেই অনেক কোম্পানি বিনিয়োগ আসবে বলে তিনি আশাবাদী। সূত্র: বিডি নিউজ

ব্রয়লার মুরগি পালনে বড় কোম্পানির কাছে ‘জিম্মি’ ছোট খামারিরা
বাংলাদেশে ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে বিতর্কের পর খামারিরা অভিযোগ করেছেন, মুরগি পালন এবং সেগুলো বিক্রির ক্ষেত্রে বড় কোম্পানিগুলোর কাছে তারা ‘জিম্মি’ হয়ে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, বড় কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংসের জন্য নিজেদের খেয়ালখুশি অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে। যা শুধু প্রান্তিক খামারিই নয় বরং ভোক্তাদেরও প্রভাবিত করে।সরকারের কাছে বার বার ধর্না দিয়েও এ বিষয়ে কোন প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে খামারিদের।বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন তালুকদার বলেন, ব্রয়লার মুরগীর চাষ বাংলাদেশে এখন নীলচাষের মতো হয়ে গেছে। যেখানে প্রান্তিক খামারিদের বাধ্য করা হচ্ছে বড় কোম্পানীগুলোর সাথে চুক্তিতে মুরগি পালন করতে।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও বলছে যে, উৎপাদন খরচের ব্যাপক পার্থক্য থাকার কারণে বাজারে বড় কোম্পানীগুলোর সাথে বাজারে টিকতে পারছে না প্রান্তিক খামারিরা। ফলে অনেক প্রান্তিক খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।আর এরফলে ব্রয়লার মুরগির বাজারটা বড় কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। তবে বড় কোম্পানিগুলো অবশ্য বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।