আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৩

পাকিস্তান
ইমরান প্রথম সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে এই ‘কুখ্যাত’ কারাগারে রাখা হলো

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দেশটির পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে।
ইমরান পাকিস্তানের প্রথম সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে এই ‘কুখ্যাত’ কারাগারে রাখা হলো।
রাষ্ট্রীয় উপহার (তোশাখানা) কেনাবেচাসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় গত শনিবার ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি আদালত।সাজা ঘোষণার পরই ইমরানকে তাঁর লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে অ্যাটক জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।রাওয়ালপিন্ডি-পেশোয়ার রেলপথের ধারে পাঞ্জাব শহরের কেন্দ্রস্থলে অ্যাটক কারাগারটি অবস্থিত। সড়কপথে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যানকে অ্যাটক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কারাগারের দিকে যাওয়ার সব সড়কে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি। তারা সড়কগুলো ঘিরে রাখে। এ ছাড়া অ্যাটক কারাগারের চারপাশে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও এলিট ফোর্স। সূত্র: প্রথম আলো

ইমরানের গ্রেপ্তার-পরবর্তী পরিস্থিতি
সরকারি জোটের ঐক্য চ্যালেঞ্জের মুখে

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর আগামী জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জনশুমারি নিয়ে জটিলতায় নির্বাচন আয়োজনে সময় লাগতে পারে আরো দীর্ঘ চার-পাঁচ মাস। সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী আরো অনেক আগেই ভোট হওয়ার কথা। এমন প্রেক্ষাপটে শেহবাজ শরিফের সরকারের সামনে বিরোধী পিটিআইকে সামলানো ছাড়াও জোটের ঐক্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ ক্রমে জোরালো হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানের গ্রেপ্তার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন আইনজ্ঞ ইমরানের সাজাকে ‘তড়িঘড়ি’ আখ্যা দিয়ে এতে ন্যায়বিচারকে পদদলিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ইমরান গ্রেফতারে পাকিস্তানের রাজনীতিতে যে প্রভাব পড়বে

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গত পরশু তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। রায়ের পরই লাহোরে জামান পার্কে তার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সড়ক পথে তাকে এটক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এটক কারাগারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইমরান খানের জন্য কারাগারে ভিভিআইপি সেল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেলে কোনো এসি নেই তবে ফ্যানের ব্যবস্থা আছে। পৃথক বিছানা ও টয়লেট আছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারের এ সিদ্ধান্ত আকস্মিক বা অভূতপূর্ব ছিল না, কারণ চলতি বছরের ৯ মের পর আবারও তাকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু সত্যি সত্যি তাকে গ্রেফতারের পর দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কিন্তু এরপর কী হবে : পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মেয়াদ শেষ হতে আর কিছুদিন বাকি, ফলে এর মধ্যেই সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আদালতের রায়ের পর ইমরান খানের আকস্মিক ও তাৎক্ষণিক গ্রেফতারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক রাসূল বখশ রাইস। সূত্র; বাংলাদেশ প্রতিদিন।

Nagad

ইউক্রেনে ভয়ংকর প্রতিশোধ রাশিয়ার
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ও শাহেদ ড্রোনসহ ৭০টি হামলা

গত কয়েকদিন ধরেই রাশিয়ায় পালটা আক্রমণ করছে ইউক্রেন। পরপর চালাচ্ছে ড্রোন হামলা। রুশ নৌজাহাজে হামলা ও একটি ট্যাঙ্কারেও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দেশটি। ইউক্রেনের চালানো এসব হামলার এবার ভয়ংকর প্রতিশোধ নিল রাশিয়া। ক্রুজ ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ইরানে তৈরি শাহেদ ড্রোনসহ সর্বমোট ৭০টি বিমান হামলা অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে দেশটি। কিয়েভের বিমানবাহিনী টেলিগ্রাম বার্তায় জানায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে এ হামলাগুলো চালানো হয়েছে। রাশিয়ার ছোড়া ৪০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৩০টি ও ২৭টি শাহেদ ড্রোন ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। রাশিয়া তিনটি কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলেও জানা যায়। তবে এ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। গুলি করা হয়নি এমন ১০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় রয়েছে সে বিষয়েও তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। রাশিয়ার এদিনের হামলায় পশ্চিম ইউক্রেনের খমেলনিটস্কি অঞ্চলের শহর স্টারোকোস্টিয়ানটিনিভের একটি সামরিক বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। অঞ্চলটির ডেপুটি গভর্নর সের্হি তিউরিন টেলিগ্রামে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি, একটি সাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও একটি বাস স্টেশন ও একটি শস্য সাইলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। খমেলনিটস্কি অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ রোববার জানায়, খমেলনিটস্কির স্টারোকোস্টিয়ানটিনিভের একটি ভুট্টা বর্জ্যরে গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ১,৪০০ বর্গমিটার জুড়ে এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। শনিবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানায়, রামিয়া খমেলনিটস্কির কাছে একটি প্লেন ও হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন নির্মাতাকারী সংস্থা ইউক্রেনীয় অ্যারোনটিক্স গ্রুপ মোটর সিচের একটি স্থাপনায় আঘাত করেছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খমেলনিটস্কি অঞ্চলটিকে নিয়মিত লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া। এর আগে জুলাইয়ের শেষ দিকে স্টারোকোস্টিয়ানটিনিভ সামরিক বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। খমেলনিটস্কি ও রিভনে অঞ্চলের সামরিক বিমানঘাঁটিতে আঘাতের খবর রাশিয়াও নিশ্চিত করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া তার সব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে। রিভনের আঞ্চলিক রাজ্য প্রশাসনের প্রধান ভিটালি কোভাল বলেন, রিভনে ‘শুধুমাত্র কয়েকটি ব্যক্তিগত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ এদিকে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন টেলিগ্রাম বার্তায় রোববার জানান, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী মস্কোর কাছাকাছি একটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। মস্কো অঞ্চলের পোডলস্কি জেলায় ইউক্রেনের ড্রোনটি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সূত্র: যুগান্তর

সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় নাইজারের আকাশপথ বন্ধ

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের সামরিক শাসকরা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় আকাশপথ বন্ধ ঘোষণা করেছেন। সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকির কথা উল্লেখ করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক অভ্যুত্থানের নেতারা। খবর বিবিসি-ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ দেখাচ্ছে, বর্তমানে নাইজারের আকাশে কোনো বিমান নেই। এর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো গ্রুপ ইকোওয়াস সতর্ক করেছিল যে, রোববারের মধ্যে নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমকে পুনর্বহাল করা না হলে তারা শক্তি প্রয়োগ করতে পারে।এরপরে নাইজারের সামরিক শাসকরা রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের সহযোগিতা চায়। সলিফু মোদি নামে অভ্যুত্থানের একজন জেনারেল প্রতিবেশী দেশ মালি সফরে গিয়ে ভাগনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সহযোগিতা চান। জান্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে। সূত্র: সমকাল

সৌদি আরবের ই-ভিসা পাবেন আরও ৮ দেশের নাগরিক

আরও আটটি দেশের নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা চালু করার কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। গতকাল রোববার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এই আটটি দেশ হলো আলবেনিয়া, আজারবাইজান, জর্জিয়া, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ। এই দেশগুলোর নাগরিকেরা অনলাইনের মাধ্যমে কিংবা দেশটির যেকোনো বন্দরে পৌঁছার পর এ ধরনের ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ভিসার আওতায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁরা ওমরাহ করতে পারবেন, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করতে এমনকি ব্যবসায়িক কাজেও অংশ নিতে পারবেন। সূত্র; আজকের পত্রিকা।

জান্তার ভরসা ওয়াগনার

নাইজারে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইকোয়াসের সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়ে উঠল। কারণ নাইজারের জান্তার জন্য ইকোয়াসের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেছে গতকাল রবিবার। এ সময়ের মধ্যে নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুমকে ফের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে বলেছিল ইকোয়াস। কিন্তু নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে নাইজারে ২৬ জুলাই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করা জান্তা। এ পরিস্থিতিতে নাইজারের পরিণতি নিয়ে জাগছে শঙ্কা। দেশটি যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে, এই আশঙ্কা করছেন সাধারণ নাইজারিয়ানরা। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জান্তার পক্ষে রাস্তায় নামা সাধারণ মানুষের একজন হলেন ইয়েইয়ে ইউসুফু। তিনি দাবি করেন, ‘ফ্রান্স নাইজারকে শুধু শোষণ করেছে। তাদের জন্য কিছুই করেনি।’ তিনি বলেছেন, ‘ফ্রান্স ৬৩ বছর ধরে আমাদের দেশে ইউরোনিয়াম আহরণ করছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে নাইজারে একটি বাঁধ পর্যন্ত নেই।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যেভাবে সামরিক শাসকরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, আমাদের আশা তারা নাইজারের অবস্থা পরিবর্তন করবে।’ পশ্চিমা শক্তি ও তাদের আফ্রিকান মিত্রদের সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপ সামাল দিতে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ওয়াগনারকে পাশে চাইছে নাইজারের জান্তা। সূত্র: দেশ রুপান্তর

পশ্চিম আফ্রিকায় একের পর এক অভ্যুত্থানের দায় কি ফ্রান্সের?

বুর্কিনা ফাসো, গিনি, মালি এবং চাদের পর অতি সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার আরেকটি দেশ নিজেরেও সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। সবগুলো দেশই ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ। যেটি লক্ষণীয় তা হলো, ১৯৯০ সাল থেকে আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলোতে যে ২৭টি সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে তার ৭৮ শতাংশই হয়েছে সাবেক ফরাসী উপনিবেশগুলোতে।
ফলে, অনেক বিশ্লেষকই প্রশ্ন তোলেন পশ্চিম আফ্রিকার এই অস্থিরতার মূল দায় কি ফ্রান্সের? অথবা এই অঞ্চলটি কি এখনও ফরাসী ঔপনিবেশিক শাসনের পরিণতি বহন করে চলেছে?
অভ্যুত্থান যারা ঘটান তারা এমন সন্দেহের জন্য আমাদের হয়তো বাহবা দেবেন। মালির সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা কর্নেল আবুলায়ে মাইগা গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা উগরে দিতে শুরু করেন। ফ্রান্স প্রসঙ্গে মি. মাইগা বলেন “নব্য-ঔপনিবেশিক, আধিপত্যবাদী” দেশটি “সার্বজনীন নৈতিক মূল্যবোধ বর্জন করেছে” এবং মালির “পিঠে ছুরি মেরেছে।”বুর্কিনা ফাসোতেও ফ্রান্স বিরোধী মনোভাব এখন তুঙ্গে। ফেব্রুয়ারিতে সেদেশের সামরিক সরকার ফরাসী সৈন্য মোতায়েন সম্পর্কিত দীর্ঘ দিনের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে এক মাসের মধ্যে সমস্ত ফরাসী সৈন্যকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

নাইজারে পশ্চিম আফ্রিকার সামরিক হস্তক্ষেপ পরিকল্পনায় ফ্রান্সের সমর্থন
পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইসিওডব্লিউএএস জানিয়েছিল, রোববারের মধ্যে অভ্যুত্থানের অবসান না ঘটানো হলে নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে।

নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে পুনর্বহাল করার সময়সীমা শেষ হয়ে আসতে থাকার এ সময়ে দেশটিতে পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের সামরিক হস্তক্ষেপ পরিকল্পনা সমর্থন করার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস) শুক্রবার জানিয়েছিল, রোববারের মধ্যে অভ্যুত্থানের অবসান না ঘটানো হলে নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করে রেখেছেন প্রতিরক্ষা প্রধানরা।গত ২৭ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড বাহিনী রাজধানী নিয়ামের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাজোমকে বন্দি করে অভ্যুত্থান ঘোষণা করে। পরে দেশটির সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানে সমর্থন জানায়।এর প্রতিক্রিয়ায় কঠোর অবস্থান নেয় ইসিওডব্লিউএএস। গত ৩০ জুলাই এক জরুরি বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, যে কোনো ধরনের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ইসিওডব্লিউএএস ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান নিয়েছে। সূত্র; বিডি নিউজ

ইসরাইলের হামলায় ৪ সিরীয় সৈন্য নিহত

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ককে লক্ষ্য করে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়েছে।সোমবার (৭ আগস্ট) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় চার জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও চার জন এবং কিছু সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।সিরিয়ার সামরিক সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টা ২০ মিনিট নাগাদ ইসরায়েলি শত্রু দখলকৃত সিরিয়ার গোলান মালভূমির দিক থেকে দামেস্ক শহরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বাধা দেয় এবং কয়েকটি গুলি করে। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন।