নায়ক রাজ রাজ্জাকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিনোদন ডেস্কবিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৩

ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা নায়ক রাজ রাজ্জাকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (২১ আগস্ট)। ২০১৭ সালের আজকের এই দিনে সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

নায়করাজ একাধারে ছিলেন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে দীর্ঘ সাড়ে ছয় দশক দাপটের সাথে কাজ করেছেন ৭৫ বছর বয়সী নায়করাজ রাজ্জাক।

তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনসহ সারাদেশে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। সেই শোকের দাগ এখনও রয়ে গেছে অন্তরে অন্তরে। ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে থাকছে নানা আয়োজন।

নায়কপুত্র সম্রাট গণমাধ্যমকে বলেন, “বছরের এই দিনে ফজরের নামাজ পড়েই আব্বার কবরে চলে যাই, দোয়া-দরুদ পড়ি। দুপুরে মেহমান, গরিব ও এতিমদের নিজ হাতে খাওয়াবেন আম্মা। উত্তরায় রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সে আব্বার নিজের হাতে গড়া একটি মসজিদ আছে। আব্বা নিজে ইমাম নিযুক্ত করে গিয়েছিলেন। সেখানে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। একই সময়ে বাসায়ও থাকছে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন। আমরা পরিবারের মানুষজন থাকব বাসায়। নামাজ শেষে আব্বার জন্য দোয়া করব সবাই।”

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নায়জ রাজ্জাক। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে সরস্বতি পূজা চলাকালীন মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন। এতে তিনি নায়ক অর্থাৎ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা এই নাটকের শিরোনাম ছিল ‘বিদ্রোহী’। এতে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয় জীবন শুরু।

১৯৬৪ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কবলে পড়ে রাজ্জাক তার পরিবার-পরিজন নিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (ঢাকায়) চলে আসেন।

Nagad

ঢাকায় এসেও লেগে থাকেন তার স্বপ্ন নিয়ে। চলচ্চিত্রকার আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ষাটের দশকে নির্মাতা সালাউদ্দিনের ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমায় একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর ‘কার বউ’ ও ‘ডাক বাবু’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

নায়ক হিসেব তার প্রথম চলচ্চিত্র হচ্ছে জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা ’। সেই থেকে তিনি ৩ শতাধিক চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এর বাইরে প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ১৬টি চলচ্চিত্র। তিনি সাতবার চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার, আজীবন সম্মাননাসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।

কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় রীতি মেনে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতার ছোট ছেলে চিত্রনায়ক সম্রাট।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-এফডিসিতেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ বাদ আসর নায়করাজের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে।

সারাদিন/২১ আগস্ট/এমবি