আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৩

ইউক্রেনে পৌঁছেছে প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমান

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পৌঁছেছে। নেদারল্যান্ডসের দেওয়া এই যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে গত রোববার নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক কিয়েভকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর আগে দেশ দুটির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে যুক্তরাষ্ট্র।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) গতকাল মঙ্গলবার এক পোস্টে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নেদারল্যান্ডস থেকে প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পৌঁছেছে। বড় বাজপাখির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।এদিকে ডেনমার্কের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনের পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে ডেনমার্ক।এক বিবৃতিতে সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, স্কাইস্ত্রোপে ডেনমার্কের সামরিক বিমানঘাঁটিতে আটজন ইউক্রেনীয় পাইলটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আরও ৬৫ জন সেনা এসেছেন। তাঁদেরকেও যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সূত্র: প্রথম আলো

জাতীয় পার্টি কি ভেঙে গেল
♦ নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা রওশন এরশাদের ♦ বিস্মিত অন্য নেতারা রংপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ♦ জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ : চুন্নু

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ গতকাল সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারত সফরে থাকা জি এম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেন। গতকাল সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। রওশন এরশাদ সেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ ঘটনায় গতকাল দিনভর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, তাহলে জাতীয় পার্টি কি ভেঙে গেল? তবে গত সন্ধ্যায় রওশন এরশাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সকালের চিঠিতে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে এই চিঠি পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ভুলে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের চিঠি গণমাধ্যমে চলে গেছে। নির্ভরযোগ্য এক সূত্র জানিয়েছেন, গতকাল ভারত সফররত জি এম কাদেরের সঙ্গে কেউ কেউ যোগাযোগ করতে সমর্থ হন। তিনি তাদের বলেছেন, রওশন এরশাদ তাকেই (জি এম কাদের) পার্টির চেয়ারম্যান থাকার কথা বলেছেন। জাতীয় পার্টিতে দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ এবং তাঁর ভাই জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দলটি স্পষ্টত দ্বিধাবিভক্ত। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

দুটি নতুন খনি উন্নয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই
গচ্চা ১২০ কোটি টাকা!

জরিপ শেষ হওয়ার ছয় বছর পরও জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্ট দুটি নতুন খনির উন্নয়নকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। অথচ দুই খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে এরই মধ্যে ১২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, খনি দুটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে যে জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। একটি নামসর্বস্ব ও কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে দিয়ে দুটি খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জরিপকাজ চালানো হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম দফায় ২০১৭ সালে কয়লা খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল, সেটি আন্তর্জাতিক মানের তৃতীয় একটি কোম্পানিকে দিয়ে মূল্যায়ন (রিভিউ) করা হয়। মূল্যায়ন রিপোর্টে দেখা যায়, তৈরি করা রিপোর্টটি ছিল ভুলে ভরা, কপি-পেস্ট ও দায়সারা গোছের। এরপর ওই রিপোর্টটি ধামাচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু জেনে-শুনেও একই মানের কোম্পানিকে ফের পাথর খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরেরবারও কোম্পানিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা আগের চেয়েও খারাপ। বাধ্য হয়ে এবার তৃতীয় কোনো কোম্পানিকে দিয়ে মূল্যায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, এ দফায়ও রিপোর্টটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় পুরো ১২০ কোটি টাকাই পানিতে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

সরকারের কাঁধে মামলার পাহাড় নিষ্পত্তি করতে চার সিদ্ধান্ত

দিনের পর দিন মামলার পাহাড় জমেছে সরকারের কাঁধে। এর সব মামলাতেই রাষ্ট্রপক্ষ বিবাদী। স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর মধ্যে সর্বশেষ গত ৩০ জুন পর্যন্ত কেবল উচ্চ আদালতেই ৯২ হাজার ৫১৯টি মামলা চলমান। মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ চার সিদ্ধান্ত। সেগুলো হলো– দেড় হাজারের বেশি মামলা থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আইন শাখা খোলা, মামলাগুলোর শ্রেণিবিভাজন করে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো, বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে কোনো কোনো মামলায় বেসরকারি আইনজীবী নিয়োগ এবং মামলাগুলোর তথ্য সংরক্ষণ করতে স্মার্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এসসিএমএস) সফটওয়্যার প্রাথমিকভাবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চালু করা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এসব মামলার মধ্যে ১ হাজার ৯৬৬টি মামলা সরকারের বিবেচনায় ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’। এ মামলাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা ৪০টি। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে ১০০ কোটি টাকার বেশি সরকারি অর্থের সংশ্লেষ রয়েছে এমন অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে ৬৫টি। দেশের ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন ১ হাজার ৫৭টি। আর আট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন সময়ে হওয়া আরও ৮০৪টি অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। বছরের পর বছর ঝুলে থাকা এসব মামলার নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগী হয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসব মামলার নিষ্পত্তিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে মামলাগুলোর শ্রেণিবিন্যাস করে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে। জমে থাকা বিপুল সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তির উপায় খুঁজতে আজ বুধবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এতে সভাপতিত্ব করবেন। সূত্র; সমকাল

ভোটের আগে পদোন্নতির চাপ, ছুটির দিনেও বৈঠক

প্রশাসনে উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা মূলত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২২ ও ২৯তম ব্যাচের কর্মকর্তা। একই সঙ্গে অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত ১৩তম ব্যাচের দ্বিতীয় ভাগে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের সচিব পদে পদোন্নতি দিতে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এই ব্যাচের একটি অংশ আগেই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হয়েছিল। গত শনিবার ছুটির দিন এবং গত রবিবার অফিস ছুটির পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বৈঠক করেছে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। এই পদোন্নতি ঘিরে পছন্দের কর্মকর্তার পদোন্নতির জন্য মন্ত্রী-এমপিসহ রাজনৈতিক নেতারা মৌখিকভাবে তদবির করছেন। অনেকে আধাসরকারি পত্রও (ডিও লেটার) দিচ্ছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগে পদোন্নতির জন্য এসব ব্যাচের কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। এ অবস্থায় ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অতিরিক্ত সচিব আছেন তাঁরাও পদোন্নতির চেষ্টা করছেন। আগামী বছরের এপ্রিলে তাঁরা পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য হবেন। সূত্র; কালের কণ্ঠ

গুদামে জায়গা নেই তবু চাল ও গম কেনার চেষ্টা
দেশের সরকারি খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা ২১ লাখ টন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গত ১৬ আগস্টের তথ্য অনুসারে, সরকারি গুদামে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৫ টন ধান, চাল ও গম মজুত আছে। সরকারি গুদামগুলো খাদ্যশস্যে ঠাসা থাকলেও আরও ১০ থেকে ১২ লাখ টন চাল ও গম কিনতে চায় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ জন্য সরকারি গুদামের জায়গা খালি করতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই মাসের (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) চাল একবারে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন বাহিনীর রেশনের তিন মাসের খাদ্যশস্য একত্রে বরাদ্দ দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।বিশ্লেষকেরা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও এ ধরনের কেনাকাটা নিরর্থক। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন ধান-চালে গুদাম বোঝাই, তখন কিসের জন্য খাদ্যশস্য কিনতে হবে? খাদ্যশস্য রাখার জায়গাও তো থাকতে হবে। গুদাম খালি করে খাদ্যশস্য কেনার বিষয়টি টোটালি মিনিংলেস (সম্পূর্ণ অর্থহীন)।’ সূত্র; আজকের পত্রিকা।

জাপার ‘চেয়ারম্যান’ ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি
নিজেকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়ে রওশন এরশাদের এক বিবৃতি নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু অবশ্য সেটাকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদও। তিনি বলেছেন, ‘দলপ্রধান নই, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান আমি।’ লের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই শীর্ষ নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও রওশন এরশাদের বিরোধ চলছে অনেক দিন ধরেই। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন রওশন এরশাদ। গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমি রওশন এরশাদ, এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এই মর্মে ঘোষণা করছি যে পার্টির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ও সিদ্ধান্তক্রমে দলের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’ এ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সই করেছেন। সূত্র: বনিক বার্তা।

‘জাতীয় পার্টিতে রওশন নাটক’
জাতীয় পার্টিতে ‘রওশন নাটক’-এমন শিরোনাম করেছে সংবাদ পত্রিকা। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, রওশন এরশাদ নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত নিজের স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে জাপার রাজনীতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে এ নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা।ওই বিজ্ঞপ্তি আসলেই রওশন এরশাদের পাঠানো কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করা হয়নি। বে এ খবর ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ সম্পর্কিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি রওশন এরশাদ যে বিবৃতি দিয়েছেন সেটিকে ‘ভুয়া’ দাবি করেন তিনি। একই বিষয়ে জাপার আরো দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যও আলাদা বিবৃতি ও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার শিরোনাম, ‘Tale of 2 fake press releases.’ এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে তখন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব্ আবারো সামনে আসছে। গতকাল দুটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে পাঠানো দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বেশ কিছু সময় ধরে ভাইরাল হয়। এরমধ্যে রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদের পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। সূত্র; বিবিসি বাংলা।

ডেঙ্গু: বরিশালে স্যালাইন সরবরাহ কম, বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বরিশাল নগরীর ওষুধের দোকানে স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে; এতে ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন সংশ্লিষ্টরা। কোথাও কোথাও বেশি দামে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাহিদার তুলনায় ‘অর্ধেক’ স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অন্তত ১০টি ওষুধের দোকান ঘুরে জানা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের জন্য প্রথমে ইনফিউশন (এনএস) স্যালাইন দিতে হয়। সেই স্যালাইনের সংকট আছে। ‘নরমাল স্যালাইন’ হিসেবে পরিচিত এ স্যালাইনের সরবরাহ একেবারেই স্বল্প। নুবা ড্রাগ হাউজের মালিক সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০ দিন ধরে নরমাল স্যালাইন নেই। কোথাও পাওয়া যায় না। হাসপাতালেও সরবরাহ কম। যাদের কাছে আছে তারা একটু বেশি দামে বিক্রি করে।” সূত্র: বিডি নিউজ

দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও ব্রিকসের বর্তমান সভাপতি সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৩৫ মিনিট) জোহানসবার্গের ও.আর. ট্যাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল রেডিসন ব্লু স্যান্ডটনে যান। এর আগে সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৩ ফ্লাইটে জোহানসবার্গের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকসের এই শীর্ষ সম্মেলনটির আয়োজন করছে। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো হলো- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুরা দা সিলভা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি ও এর কারণে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পর আয়োজিত এটি প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সূত্র: বাংলানিউজ