বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দেড় শতাধিক বিজিপি সদস্যের আশ্রয়

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৪

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে পর্যুদস্ত হয়ে আবারও বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা। এখন পর্যন্ত বিজিপির ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে এ পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ১৭৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১১ বিজিবির অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের দেখতে গিয়ে বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর জামছড়ি ওয়ার্ডের মেম্বার সাবের আহমদ।

স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার বিকেলে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের দেখতে সীমান্তবর্তী জামছড়ি এলাকায় ভীড় করেন উৎসুক জনতা। এ সময় হঠাৎ মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া একটি গুলি এসে লাগে মেম্বার সাবের আহমদের কোমরের ডান পাশে।

সাবের আহমদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এবং বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনও। আহত এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

Nagad

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের সবাইকে ফেরত পাঠানো হয়।