ভূরুঙ্গামারীতে বৈরী আবহাওয়ায় ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২৫

কুুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা বৃষ্টিতে ধান কাটা, মাড়াই, ভেজা ধান শুকাতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কৃষকরা।

চলতি বোরো ধান কাটা, মাড়াইয়ের ভরা মৌসুমে একদিকে ধানক্ষেতে বৃষ্টির পানি, অন্যদিকে বাড়িতে ওঠানো ভেজা ধান শুকাতে না পারায় উভয় সংকটে পড়েছেন কৃষকরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ ধান কাঁটা হয়ে গেলেও কোথাও কোমর পানি কোথাও হাঁটু পানিতে ডুবে আছে অনেক ধান। জোকের উপদ্রব থাকায় চড়া মূল্যেও মিলছে না শ্রমিক। কিছু কিছু কৃষক পানিতে দাড়িয়ে ধান কাঁটার চেষ্টা করছেন। এদিকে কেটে রাখা ভেজা ধানে গাছ গজিয়ে নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে অনেকের। টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় বোরো ধান কাঁটা ও শুকাতে না পাড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।

দিনে থেমে থেমে সামন্য রোদের দেখা মিললে তাতে সড়কেই ভেজা ধান শুকানোর চেষ্টা করছেন কৃষক-কৃষাণি ও পরিবারের সদস্যরা।

শিলখুড়ী ইউনিয়নের শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, এই এলাকাটি নদী বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এমনিতেই কৃষকদের অনেক কষ্ট করে ফসল ফলাতে হয়। তাতে খারাপ দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা।

পাথরডুবি ইউনিয়নের দলবাড়ি বিলের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন ও নায়েব আলী বলেন, ফলন ভালো হলেও বৃষ্টির কারণে নিচু জমির ধান তলিয়ে গেছে। কষ্টের ফসল ঠিকঠাক ঘরে তুলতে না পারলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

Nagad

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল জব্বার জরিয়েছেন, এবার উপজেলায় বোরো মৌসুমে ১৬ হাজার ৪শত ৮৫ হেক্টর ধান চাষবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে আমন মৌসুমে বীজ ও সারের প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।