দুদককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি ভুলভাবে ব্যাখ্যা হচ্ছে: ফয়েজ তৈয়্যব
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ফাইভ-জি উপযোগীকরণ নেটওয়ার্ক প্রকল্প চালিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি পাঠানো হয়েছে দেশের স্বার্থে, কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়— এমন দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘দুদককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। প্রকল্পের গতি বজায় রাখতে এবং বিটিসিএলের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই দুদকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’


লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ২ মে বিটিআরসিতে আয়োজিত এক কনফারেন্সে বাংলাদেশের ইন্টারনেটকে বিশ্বের মধ্যে ‘সর্বনিকৃষ্ট’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই প্রেক্ষাপটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আন্তর্জাতিক মানসম্মত টেলিকম লাইসেন্সিং পলিসি তৈরি করছে, যাতে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) ও জিএসএমএ-এর নির্দেশনার প্রতিফলন থাকে।
ফয়েজ তৈয়্যব অভিযোগ করে বলেন, ‘এই আধুনিকায়ন প্রচেষ্টায় আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, তখন কতিপয় মিডিয়া এবং স্বার্থান্বেষী কমিউনিকেশন মাফিয়ারা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।’
তিনি বলেন, ২০১০ সালে পূর্বতন সরকার যে আইএলডিটিএস নীতি চালু করেছিল, তা মোবাইল অপারেটরদের সীমাবদ্ধ করে রাখে এবং সে সময় রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান একের পর এক লাইসেন্স পায়। এসব প্রতিষ্ঠান এখনো সক্রিয় এবং আধুনিক টেলিকম উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা চাচ্ছি একটি আধুনিক, কার্যকর ও আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম অবকাঠামো গড়ে তুলতে, যেখানে বিটিসিএল, বিটিআরসি ও সরকারী সকল সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করবে।’